রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ১৪৯


৫৯৩
জ্যোৎস্নাস্নাত নীরব নিশীথ ধ্রুবতারাও নিষ্প্রভ
কত সময় সাগরতটে একা একা আর র'ব
ঢেউয়ের শব্দ না-পা'র নূপুর, শুনি আমি কিঙ্কিণি
এমন মধুর মিলনের ক্ষণ এসো পাশে এক হব।


৫৯৪
রুবাই দিয়ে গাঁথা মালা পরিয়ে দেব আজ গলে
একটু আতর ছড়িয়ে দেব বেনারসির অঞ্চলে।
আওড়ে যাব কেবল রুবাই আজকে যে রাসপূর্ণিমা
জ্যোৎস্নাধারায় গা ভিজাব চাঁদ যেন না যায় চলে।


৫৯৫
রুবাই-পাঠে যা আনন্দ লিখে প্রকাশ অসম্ভব
তাঁর নূপুরের ধ্বনি শুনি যায় না কানে অন্য রব।
অপূর্ব এক মূর্তি দেখি বলে যেন আয় রে আয়
একটু কৃপা পাবার জন্য অষ্টপ্রহর করছি স্তব।


৫৯৬
দেখে আমার যা আনন্দ খেয়ে আমি পাই না তা।
গোলাপ দেখি, পাখিও দেখি দৃশ্যগুলো রয় গাঁথা।
স্মৃতিচারণ যখন করি চোখের সামনে হয় হাজির
যদিও চোখ বন্ধ থাকে নাচতে থাকে দুই পাতা।


© অজিত কুমার কর