রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ১৭৭


৭০৫
শরতে নেই হিমের পরশ রোদ উঠেছে গনগনে
কংসাবতীর তীরে বসে জুড়োচ্ছি গা এক্ষণে।
কদিন ধরে গুমোট গরম মেঘ জমেছে আকাশে
ঠান্ডা জলে গলা ভিজাই ফেরার পথে দুইজনে।


৭০৬
ক্যামেরাতে রাখছি ধরে না জানিয়ে অজ্ঞাতে
উড়ছিল চুল এদিক-ওদিক পারিনি তা আটকাতে।
বাতাস তখন বেপরোয়া ওড়নাটাতে ঝটকা দেয়
হিমসিম খাও সামাল দিতে দীঘায় সাগরবেলাতে।


৭০৭
তুই যেন এক স্বর্ণমৃগী দেখলে আমার চোখ ধাঁধায়
রাম পারেনি ধরতে তোকে পরানপাখি কলকলায়।
আমাকে তো করলি পাগল ধরাছোঁয়ার বাইরে তুই
খোঁপার জারুল পেলাম পথে, ভরে দিল স্নিগ্ধতায়।


৭০৮
ঝরা হিজল শয্যা আমার বিমোহিত সুগন্ধে
হিজল-পাশে দুটো জারুল মাতোয়ারা আনন্দে।
হিজল ঝরে, জারুল ঝরে আচ্ছাদিত দুই ফুলে
শেষ বিকেলের রৌদ্রটুকু নৃত্য করে সু-ছন্দে।


© অজিত কুমার কর