রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ২৩২


৯২৫
শ্রাবণধারায় বকুল ঝরে দেখে আমি হই ব্যাকুল
রইলে পাশে দিতেম তোমায় মুঠো মুঠো টাটকা ফুল।
বৃষ্টি ফোঁটা দুই কপোলে মানিক হয়ে জ্বলত বেশ
রূপলাবণ্য বাড়িয়ে দিত নাকের ওপর সিক্ত চুল।


৯২৬
শ্রাবণে কি লেখনীটি হয়ে গেছে স্যাঁতসেঁতে?
নাকি কবি নিদ্রামগ্ন তোষক-চাদর-লেপ পেতে!
তাই নিশ্চয় যায়নি কানে বিপদগ্রস্ত মা'র রোদন
ওই ঘরেও যে হানা দিতে শিকারিরা ওঁত পেতে।


৯২৭
অভিনব অঙ্গভূষণ খোঁপায় গোঁজা চলতাফুল!
দেখেই দৃষ্টি আটকে গেল কদম কী খুব অপ্রতুল?
ব্যতিক্রমী সাজসজ্জা চমকপ্রদ ওর রুচি
হাতের গোলাপ রইল হাতেই হয়ে গেল বিষম ভুল।


৯২৮
পাখির উড়ান থামিয়ে দিল নির্মমতায় দুষ্কৃতি
ভূষণহীনার আর্তনাদেও জাগল না মোটেও প্রীতি।
যার জঠরে শিশুর জন্ম তাদের প্রতি অসম্মান!
ওরা পিশাচ, দেখলে ওদের চিত্তে জাগে ভয়ভীতি।


© অজিত কুমার কর