রুবাইয়াৎ-ই-অজিত কুমার ২৮৯


১১৫৩
দাবদাহে হচ্ছি নাকাল ও সাঁই একটু মেঘ জমাও
স্বস্তি দিতে মাঝেমধ্যে দুচার ফোঁটা জল ঝরাও।
গা-থেকে ঘাম যাচ্ছে ঝরে যাচ্ছে কমে রক্তচাপ
যেন জীবের জীবন না যায় এদিকপানে একটু চাও।


১১৫৪
মা ডাক দিলে যেতেই হবে প্রস্তুতি নিই তৎক্ষণাৎ
কী প্রয়োজন বলেনি তা বাড়ি পৌঁছতে হবেই রাত।
কিছু একটা ঘটেছে ঠিক না হলে মা ডাকত না
সারাটা পথ ভেবেই সারা হঠাৎ কে দেয় মাথায় হাত।


১১৫৫
কালবৈশাখী ঝড়ে সেদিন উড়ল আমার খড়ের চাল
বৃষ্টি নামল মুশলধারায় ভিজে আমরা হই নাকাল।
লাউয়ের মাচাও ধরাশায়ী বল এবার যাই কোথায়
মাথার ওপর খোলা আকাশ কী ঝকঝকে প্রাতঃকাল।


১১৫৬
মায়ের কোলই যেন স্বর্গ ধরার সকল সন্তানের
মা কে পেলে তুষ্ট সবাই চাহিদার নেই রকমফের।
একটা চুমা, একটু আদর দূরে করে সব যন্ত্রণা
কেবলমাত্র জননীর কোল প্রকৃষ্ট স্থান আশ্রয়ের।


© অজিত কুমার কর