.                  একশো একুশ


   শূন্য হাতে আসা-যাওয়া সঞ্চিত রয় কর্মফল
  তবুও মানুষ এত অবুঝ বিদায়কালে অশ্রুজল।
ওপর থেকে দেখেন সবই সারাজীবন করছি কী
    পুণ্যাত্মা পেয়ে যাবে প্রভুর রাঙা চরণতল।


                 একশো বাইশ


এত সময় কাটিয়ে দিলাম মানুষ হলাম বলবে কে?
বলার লোক তো সত্যদ্রষ্টা উত্তর দেন সব দেখে।
পাঠশালাতে যায়নি আমি আমার নাম কি বিচার্য?
বিদ্যা দেখে হয় না বিচার মরমিকেই নেন ডেকে।


                 একশো তেইশ


মারণ রোগের ছোবল কেবল মানুষ নামক জীবের গা'য়
  মানবজাতির কী অপরাধ অন্য প্রাণী রেহাই পায়!
কুড়ি-কুড়ির গোড়ায় শুরু কেউ জানে না কখন শেষ
    মহাতঙ্কে কাটছে সময় কখন কুসুম ঝরে যায়।


                 একশো চব্বিশ

কেমন করে যাচাই করেন শূন্যে থেকে কাজের মান!
   দশের মধ্যে কত পেলে শ্রীচরণে মিলবে স্থান?
মূল্যায়ন তো হচ্ছে রোজই অজ্ঞাত সেই ফলাফল
কত নম্বর জুটল আমার জানার জন্য অধীর প্রাণ।