. রুবাইয়াৎ-ই-অজিতকুমার ৫৯
দুশো তেত্রিশ
মিঞা-বিবির ওপর ঝরুক ওপরওয়ালার রহমত
কাঁটাগুলো সরিয়ে নিয়ো মসৃণ হোক চলার পথ।
পাখির মতো করুক কূজন এটাই আমার প্রার্থনা
মন্দাকিনীর মতোই ছুটুক সুসজ্জিত ওদের রথ।
দুশো চৌত্রিশ
আমার ঘড়ি সচল রাখতে যখন তুমি হাত লাগাও
বুঝতে পারি পাই না দেখা ফাঁকি দিয়ে কোথায় যাও?
রহস্যময় কার্যকলাপ চক্ষু থেকেও দৃষ্টিহীন
সারাজীবন হেরে গেলাম জেতার একটা সুযোগ দাও।
দুশো পঁয়ত্রিশ
এই ঘড়িটা বিকল হলেই খাঁচার পাখি ফুড়ুৎফাই
পাখি তখন কোথায় যাবে ঠিক ঠিকানা জানা নাই।
এখন ভাবা তখন ভাবা দুটোর মধ্যে ঢের তফাৎ
জানাতে আপত্তি কেন করো না ধানাইপানাই।
দুশো ছত্রিশ
মর্গে মর্গে লাশের পাহাড় ক্লান্ত শ্মশান কবরস্থান
তবুও মানুষ নয় সচেতন নিষেধাজ্ঞায় দেয় না কান।
মাস্ক না পরে ঘুরছে পথে বাড়বাড়ন্ত সংক্রমণ
গ্রাম-শহরে থমথমে ভাব বিয়োগব্যথা ছিন্ন টান।
© অজিত কুমার কর