শিশির-ভেজা বিনিদ্র রজনি
অজিত কুমার কর


হিম কুয়াশায় ঢাকা আলো অমাবস্যা যেন
একটা পেঁচা উঠল ডেকে কী জানি তা কেন।
ফুটছে কুঁড়ি শিউলি ডালে প্রাতেই পড়বে ঝরে
মিষ্টি সুবাস পাচ্ছি এখন হৃদয় গেল ভরে।
রাত্রিও যে এমন মধুর কে বা জানত আগে
ঘরের বাইরে নীরবতা কেবল রাত্রি জাগে।


কপাট খুলে বেরিয়ে গেলাম দেখতে জগৎটাকে
পাড়ার কুকুর চেনে বলেই চুপটি করে থাকে।
ও' একা নয় শুয়ে আছে ছোট্টো দুটো ছানা
মাতৃস্নেহে বঞ্চিত নয় কোলেই নিদ্রা টানা।
এ পথ দিয়ে রিক্সা ছোটে টোটোও চলে কত
এখন কিন্তু অনন্য রূপ সবকিছু সংযত।


কাঁকর-খোঁচা লাগছে কেন, চটি তো নেই পায়ে
রাত্রে পরা পাঞ্জাবীটা কেবল আমার গায়ে।
শিশির-ভেজা ধুলোমাটি লাগছে অনুরাগে
খালি পায়ে হাঁটা কেমন অন্যরকম লাগে।
পথের পাশে হিজল বকুল কৃষ্ণচূড়ার সারি
নিঝুম রাতে নিরালাতে একলা পথচারি।


দুলের মতো রঙিন হিজল দুলছে ডালে ডালে
যেমন দোলে প্রিয়ার বেণি নাচের তালে তালে।
এ তো ওদের ফোটার সময় ঝরতে এখন মানা
পুবের আকাশ ফর্সা হলে আহ্লাদে আটখানা।
অবলীলায় পড়বে ভুঁয়ে একটি দুটি করে
আটকাবে কে তখন ওকে পড়বে ঠিকই ঝরে।