রাতের শিশির জমেছে পাতায় টুপটুপ পড়ে ঝরে
অরুণকিরণে শিশিরের কণা মুকুতার রূপ ধরে।
হিমেল বাতাস গায়ে মেখে রোজ হাঁটি আমি নদীতীরে
একা একা নয় সাথে থাকে দিদি ও’রাখে আমারে ঘিরে।


পাখিরা কেমন বেরিয়ে পড়েছে যাবে খাবারের খোঁজে
আমাদের মতো নয় পরাধীন, বেদনা কেহ না বোঝে।
সাধ জাগে খুব ফড়িঙের মতো উড়ি দুটি ডানা মেলে
শুনছিল বুঝি এ’মনের কথা, বলে, ‘এসো, কোথা গেলে।’


‘বড় হতে হবে লেখাপড়া করে বোঝো, না বোঝোনি তুমি
বলেনি কি রোজ জনক জননী, প্রভাতে অধর চুমি ?
কুলুকুলু করে বয়ে যায় নদী করে না কখনো হেলা
বিরামের তাঁর সময় কোথায় এভাবেই কাটে বেলা।’


শিস দিয়ে ওঠে দুটি লেজঝোলা, নিমেষে পালায় উড়ে
ফড়িঙের সাথে সহমত ওরা, জানালো হয়ো না কুঁড়ে।
কত কী যে চায় এই শিশুমন, ওড়ে পরিদের সাথে
ঝিকিমিকি জ্বলে এ’দুটি নয়ন, যেমন জোনাক  রাতে।