তিতির পাখির বাসা দেখতে দারুণ খাসা।
অশথ গাছের ডালে টিলার গায়ে ঢালে।
রং যদিও কালো ছড়ায় কত আলো।
খাবার খোঁজে ওড়ে এদিক ওদিক ঘোরে।


দিনের আলো ফিকে যখন পূর্ব দিকে।
গম ফলেছে কতো খেলো ইচ্ছে মতো।
নতুন বন্ধু হলো, বলে বাসায় চলো।
ওদিকে তার নীড়ে শশক গিয়ে ভিড়ে।


বড়ই অলস ও যে পরের বাসা খোঁজে।
তিতির ফিরে দেখে বাসাতে তার এ কে?
তুমি হেথায় কেন? ভাবলে নিজের যেন!
এটা আমার বাসা বোঝ না এই ভাষা?


তোমার ভাষা বুঝি বলছি সোজাসুজি।
ফাঁকাই পড়ে ছিল আপন করে নিল।
রইব জীবন সারা পেয়ে আত্মহারা।
সংগত নয় দাবি বলছো হাবিজাবি।


অনেক বছর ধরে রয়েছি এই ঘরে।
নেয় না শশক কানে র'বে সে এইখানে।
তুমুল তর্ক চলে যে যার মতো বলে।
অন্য পশু আসে ঝগড়া শুনে  হাসে।


বিবাদ নাহি থামে বিচার করতে ঘামে।
তিতির শশক ছোটে উচ্চ কোনো কোর্টে।
একটা নদীর ধারে বিড়াল দেখে আরে!
কারা এদিক আসে খিদের সময় পাশে!


চক্ষু মুদে ছলে মন্ত্র আওড়ে চলে।
ধ্যানমগ্ন পুষি! দেখে বেজায় খুশি।
আস্থা রাখে ওরা বন্ধ হল ঘোরা।
নয়ন মেলে দেখে শুধায় একে একে।


দুজনার এক দাবি তার হাতে এর চাবি।
ধূর্ত বিড়াল বলে দেখছো মালা গলে।
বয়সও বেশ ভারী হাঁটতে কি আর পারি।
কানেও এখন কালা সইছি বিষম জ্বালা।


ওম হরি ওম হরি কী এর বিচার করি!
বিচার সহজ নাকি, অল্প-একটু বাকি।
বলবো কানে কানে চলে আয় এখানে।
এগিয়ে আসে কাছে পুষির হৃদয় নাচে।


ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘাড়ে এবার পুচ্ছ নড়ে।
পুষির বিচার সারা পড়লো দুজন মারা।