* শ্রদ্ধার্ঘ্য
অজিত কুমার কর
আজকে কবির প্রয়াণ দিবস মন উতলা তাই
প্রভাতবেলা ওঁর চরণে প্রণতি জানাই।
আমি অতি নগণ্য ফুল
কবিগুরু ধরায় অতুল
স্মরণ করে আজকে আমি বড়ই তৃপ্তি পাই।
কবির প্রভায় জগৎ আলো
সরায় কুজ্ঝটিকার কালো
শক্তি জোগায় সবার চিতে তাঁর আশীর্বাদ চাই।
দিনে সূর্য রাত্রে শশী আঁধার করে দূর
দিবানিশি তোলেন কবি বীণায় মিঠে সুর
লাল করবী কদম্ব জুঁই ফুটল বরষায়
কবিগুরুর পরমপ্রিয় একটু পরশ চায়।
প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে
চোখে ওদের স্বপ্ন ভাসে
গলাতে ঠাঁই পেয়ে ওরা পরম তৃপ্তি পায়।
মৃত্যু সে তো শান্তি-খেয়া
নৌকাখানি জোগায় কেয়া
সজ্জিত নাও পৌঁছে গেল অতুল গরিমায়।
মর্ত্যলোকের বাঁধন ছিন্ন খুললো স্বর্গদ্বার
সবার দেখা পেলেন কবি মিলন পুনর্বার।
সেদিনও ঠিক এমন ছিল আকাশ জুড়ে মেঘ
লক্ষ লোকের চোখের জলে সশ্রদ্ধ আবেগ।
শ্রাবণ বাইশ সাজায় তরি
তোমার গানের সুর লহরি
কণ্ঠে কণ্ঠে ধ্বনিত হয় কাটাতে উদ্বেগ।
হোকনা যত আঁধার রাতি
তখন তুমি পথের সাথি
সাঁতরে পেরোই ভরা নদী যতই থাকুক বেগ।
প্রেরণা পাই সুরের ছোঁয়ায় শিরায় পড়ে টান
অক্লেশে হয় কাজ সমাপন জুড়ায় তখন প্রাণ।