কে তুমি যাও ঝমঝমিয়ে মল বাজিয়ে এসোনা বোন কাছে
আমায় তুমি ডাকছ কেন এখন আমার সময় কী ভাই আছে।
ফুলের খোঁজে যাচ্ছি আমি তুলতে হবে ভর্তি করে সাজি
ওখান থেকে পৌঁছে ঘরে ঠাকুরকে দিই নিজেও আমি সাজি।


আমায় তুমি একটা দিয়ো ফুলের গন্ধ আমার ভালো লাগে
পারলে আমি তোমার সাথে ফুলের খোঁজে যেতাম আগে আগে।
কেন তোমার কী হয়েছে, সকালবেলা গায়ে চাদর কেন?
বৃষ্টিভেজা ঠাণ্ডা বাতাস দার্জিলিংয়ে পৌঁছে গেছি যেন।


মালিনী মা, শশীর মেয়ে, আমি সুধা ফুল তুলি আর গাঁথি
অনেক ভোরে উঠে পড়ি তাকাই পুবে ফুরায় কখন রাতি।
ঠিক আছে ভাই বলছ যখন দেবো তোমায় সময় যখন পাবো
এখন আমি যাচ্ছি তবে আসব আবার যখন বাড়ি যাবো।


রবি তখন আর রবি নয় অমলরূপে রোগগ্রস্ত শিশু
এখনতখন অবস্থা তাঁর কে বাঁচাবে পারেন যদি জিশু।
ফুলের সাজি ভর্তি করে সুধা যখন ওই বাড়িতে এলো
অমল কোথা অমল তো নাই শূন্য গেহ কেমন এলোমেলো।


বাইরে তখন প্রবল ধারা সুধার হাতে গাঁথা একটি মালা
শূন্য খাটে রাখল সেটি সুধার বুকে অসহ্য এক জ্বালা।
বঙ্গবাসী খবর পেয়ে হাজির সেথা রবির চরণ ছুঁতে
কাঁদছে আকাশ শ্রাবণ দিনে বিলীন হ’লো আত্মা পঞ্চভূতে।