প্রেমিককে প্রেমিক বলতে সাতটি পদ্ম ফুঁটে উঠেনা।
পদ্ম গুলো মরমরা কিংবা আধমরা।
এখনকার প্রেমিকরা পদ্ম আর
পদ্ম পাতার জল দুটো বোঝোনা।
প্রেমিকদের যৌবন হচ্ছে রসাতলে!
রস কৌসে প্রেমিকরা কস আর পছন্দ করে না।
রসাতলে প্রেমিকরা যৌবন মিটিয়ে নেয়।
প্রেমিকদের পদ্মের গন্ধ শুকার নাম বেহালে।


আজকের প্রেমিকারা প্রেমিককে দক্ষিণা হাওয়া চুল উড়িয়ে জ্ঞাত করতে পারেনা তাদের প্রেম -প্রেম পাওয়া।
প্রেমিকাদের প্রেমিকরা অট্টলিকায় বসতে ,মূর্খ ,অজ্ঞ হয়ে গেছে।
প্রেমিকদের চুলের শ্যাম্পুর ঘ্রান টানে।
সেকালে বেলী ফুলের ঘ্রানে কত প্রেমিকার পিছনে ঘুরেছে প্রেমিক খুঁছে  দিতে।


অথবা,
শ্যাওলার কাঁদা মাখা শাপলা পেয়ে প্রত্যাখ্যান করতে সাহস হয়নি প্রেমিকাদের প্রেমিকের প্রেমের প্রস্তাব।
অথচ,
শাপলা পাওয়া যায় প্রেমিকাদের ঘরের পিছের খালটিতে হাত বাড়ালেই।
তবুও প্রেমিকারা চাই একটি শাপলা তাদের প্রেমিকরা তুলে এনে সামনে ধরুক।


তখনকার দিনেও প্রেমিক ছিলো!
শুধু প্রেমিক নয়, ছিলো মহাপ্রেমিক, সুপ্রেমিক।
যারা কাঁঠালের আঠাড় মত লেগে থাকতো প্রেমিকাদের ভালোবাসায়।


বড় বাড়ির ভাবির দোয়াতে কত লিখেছে চিঠি।
প্রেমিকার নলকের মোহনায় কবি হয়েছেন কত প্রেমিক।
তখন ও তাঁরাই প্রেমিক ছিলো।


আর আজ,
প্রেমিকদের বিলুপ্তি হয়েছে নাকি সময়ের?
সেই বিবর্তনে মর্মর প্রেমিকারা।
সবে,প্রেমিককে আর প্রেমিক বলা যায় না...!!!


"মরমরা প্রেমিক"


লেখা:Israt Jahan Panna