নয়ন হ্রদের গভীর জলে ভাবনা গুলো লুকিয়ে ফেলে, বুঝতে তুমি চাও না দিতে বাঁকা হাসির কারণ,
ভাব খানা তার খুশির জোয়ার, নেই সময়ের পরাগ নেবার, সবার মাঝে উজাড় করে তোমার বলা বারন।
ছদ্মবেশে সবাই রাজা, সুযোগ পেলেই চাপায়  সাজা,
সবার মাঝে কাঁদতে তোমার মানা।
ভালো থাকার ছল চাতুরি, বধির দেওয়াল স্তব্ধ ঘড়ি,
বেঁচে থাকার তাগিদ তোমার জানা।
প্রজাপতি উড়তে তুমি ফুলের থেকে ফুলে, রঙিন আঁচল- খুলে, মজার বিকেল ফুরিয়ে গিয়ে এখন সাঁঝের বেলা,
বদ্ধ দুয়ার নিভছে প্রদীপ, ঝিঁঝির ডাকে ঠিক না বেঠিক
মনমরা প্রাণ ভাসায় নিজের জীবন তরীর ভেলা।
খোলা আকাশ হারিয়ে গেছে, স্নিগ্ধ বাতাস বিষ যে শেষে,
ইট পাথরের কঙ্কালেতে ঢাকা মাথার ছাদ,
কোথায় তুমি হারিয়ে যাবে ? শব্দগুলো কোথায় পাবে? বলবে সমাজ হয়তো পাগল নয় তো বা উন্মাদ।
ভাবতে আমার অবাক লাগে অপরিসীম ধৈর্য জাগে
বুঝতে সময় পায়নি সকল মন,
ভালো থাকা আর ভালো রাখা, দুই রাস্তাই আঁকাবাঁকা
চলাই জীবন থামা অল্পক্ষণ।
ভেবো না তুমি রাজকুমারী কুড়িয়ে নিয়ে মুক্তো বারি,
বদলে ফেলো নিজের ভাগ্য লেখা,
ভয়কে করো সমাজ ছাড়া, ঝাঁপিয়ে পড় বাঁধনহারা
দুর্গা রুপি শক্তি তোমার দেখা।