গভীর রাতে
কবিতা আসে আমার খোলা জানালায়।
জোনাকির মতো কখনো জ্বলে,কখনো নেভে।
আমি যখন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ভাবি অথবা স্বপ্ন দেখি...
'ও'ছুঁয়ে যায় আমার অসাড় হাতের আঙুল,
আমার উপোসী চোখ, আমার উন্মনা চিবুক!


লন্ঠনের আলো একবার দপ করে জ্বলে উঠেছিল।
সে রাতে স্পষ্ট দেখেছিলাম কবিতার মুখ।
ভাঙাচোরা, ক্লান্ত, ব্যথাতুর!
অপলক চেয়ে কিছু কি বলতে চেয়েছিল...
হয়ত চেয়েছিল পরিপূর্ণ হতে!


আমি বললাম সবুর করো।
সূর্য উঠুক, হারিয়ে যাওয়া মনটাকে
খুঁজে আনি, সদ্য ফোটা পদ্মের কাছ থেকে।
রং চেয়ে আনতে যাই প্রজাপতির ডানায়।


এতোটা সময় ওর ছিল না বোধহয়...
লন্ঠনের আলোটাও নিভে গেল।
সাজানো হোলো না কবিতাকে।
অভিমানী মুখ মিশে গেল জোনাকির ঝাঁকে।