গ্রীষ্মের কোনো এক নিরালা দুপুরে,
বৈশাখী হওয়া খানি সুর তুলে নূপুরে।
পথে ভীষণ সে রৌদ্রে ঝলসানো বালি,
লিখে ছিল কত কথা কেমনে সে বলি।
বৃষ্টির জল পড়ে বড় ডুমুর পাতায়,
লিখে ছিল কত কথা মনের খাতায়।
জোছনার কিরণ এসে নদীর ঐ জলে
লিখে যায় কত কথা কে বা তাহা বলে।
গোধূলি বেলায় যেন মেঘের ঐ কোলে,
ঊষা তার লাল রঙে লিখে যায় চলে।
শরতের নীল আকাশে সদা মেঘে ঐ,
লিখা ছিল কত কথা কেমনে যে কই।
ভোরের শিশির এসে ঘাসের আগায়,
কত কথা আনমনে লিখে দিয়ে যায়।
দখিনা বাতাস এসে ঐ ফাগুন মাসে,
লিখে যায় কতো কথা ফুলের সুভাষে।
অজানা লিপি যেন সব চেনার মাঝে,
প্রকৃতি সাজায় তাকে মধুর এ সাজে
এমন এক লিপি যাকে যায়না যে দেখা,
মনের অনুভূতিতে সদা রয় তবু আঁকা।।