আজ হঠাৎ অনেক দিন পর ফেসবুকে তোমার আইডি খুঁজে পেলাম,
প্রোফাইলে ক্লিক করার সময় আগের মতোই হাত কাঁপছিল, বুকের মধ্যেও ছিল মেঘনার বুকে ঝড়ের উন্মততা; কেমন আছো, কোথায় আছো, ভালো আছো তো নাকি আমার মতো... এসব জানার তীব্র আকাঙ্খা গ্রাস করেছিল আমায়;
তুমি তো জানোই, অজানাকে জানার প্রতি আমার বরাবরে আসক্তি... যার জন্য একটা সময় আমাকে একা ফেলে চলে গিয়েছিলে তোমার জগতে,
বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠাবো কি না তা কত শতবার ভেবেছি তার ইয়ত্তা নেই; তবুও পাঠালাম; জানি এবারো বরাবরের মতো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বন্ধু লিস্টের এককোণায় আমাকে স্থান দিবে;
তোমার প্রোফাইল ছবিটা বেশ মায়ায় ভরা; চোখে যদিও খানিকটা অপূর্ণতার আভাস; আচ্ছা সেটা কি আমাকে না পাওয়ার বেদনা?
তোমার ঠিকানায় লেখা আছে, "ভুলে যাওয়া তোমার হৃদয়"! কিন্তু মানুষ কি নিজের ঠিকানা কখনো ভুলতে পারে? তুমি কি আমাকে ভুলতে পেরেছো?
এখন হাতের কাঁপুনিটা খানিকটা কমেছে, তোমাকে দেখার, তোমাকে জানার সাহস আমাকে দুর্বল করে দিচ্ছে ক্রমশ! কোনো কোনো সাহস যে মানুষকে দুর্বল করে দিতে পারে আজ বুঝতে পারলাম!
আচ্ছা, তুমি নামের নিচে এমনটা কেন লিখলে? এ জীবন আজীবনের জন্য শুধুই তোমার! এই তুমিটা কি আমি? নাকি অন্য কেউ?
ভেবেছিলাম তোমার ফিচারড ছবিতে তোমার বর্তমানকে দেখবো; জানবো; কিন্তু একি দিয়ে রেখেছো! নয়টা ছবির ছয়টাই তো আমার তোলা! সেই সার্ক ফোয়ারা, রমনার বেঞ্চ, সোহরাওয়ার্দীর মাঠ আর আমার বাড়ির উঠোন! তাহলে কি তুমি আজো...
নতুন চাকরির খবর দিয়েছো বছর খানেক হলো; সব পোস্টেই তো প্রাইভেসি দেওয়া শুধু এই পোস্ট ছাড়া; কেনো? তুমি কি আজো বসে থাকো অফিসের ঠিকানায় আমার পথ চেয়ে?
সবার প্রোফাইল লক থাকলেও তুমি কেনো লক করলে না! তুমি কি জানতে, আমি একদিন এসে হানা দেবো তোমার দেওয়ালে!
সত্যি বলতে আমিই হয়তো বেশিই আশা করছি; হয়তো এসবের কোন কিছুই আমার জন্য নয়, হয়তো তুমি আর ভাবো না এই বদমেজাজী, ছন্নছাড়া এই ছেলেটার কথা; যার জন্য এককালে তুমি পথ চেয়ে বসে থাকতে ঘন্টার পর ঘন্টা;
কিন্তু আমি যে আজো তোমার অপেক্ষায় নির্ঘুম রাত কাটায় আমার একাকীত্বকে সঙ্গী করে।
যেখানেই থাকো ভালো থেকো। স্মৃতিরা বড্ড বেশি নিষ্ঠুর! বড্ড বেশি পাষাণ! বড্ড বেশি অভিমানী।
যদি কখনো জানতে চাও কেমন আছি; তবে নিজের ঠিকানায় খোঁজ নিও; উত্তর পেয়ে যাবে!
ভালো থেকো ভালোবাসা, ভালো থেকো নন্দিনী!