মা, আজন্ম শৈশবের নাম!
মা আছেন তো আমি শিশুই
হোক না বয়স চল্লিশ, পঞ্চাশ কিংবা 'শ!
মায়ের মধ্যেই আমাদের শৈশব আয়ুরেখা,
মা নেই তো এক নিমেষে হারিয়ে যায় শৈশব,
সেই শৈশব যা মা পরম যত্নে বুকে লালন করেন।
এই প্রৌঢ়ারম্ভে মায়ের মুখে "বাবু" ডাক চট করে আমাকে শিশু বানিয়ে ফেলে,
জ্বরের ঘোরে এখনো মায়ের হাতের স্পর্শে সেই অনুভূতি জাগিয় ওঠে, যা আমি শিশুত্বে অনুভব করতাম।
আজও মা শীতে উষ্ণতা দেওয়ার জন্য নিজের চাদরখানায় মুড়িয়ে দেন,
সেই চাদরে আমি সুখ ঘ্রাণ নিতে থাকি, যেটা আমি শৈশবে নিতাম,
প্রতিরাতে মা তার অংশের কিছু খাবার আমাকে দিয়ে বলেন খেয়ে নে, এতটা আমি পারবো না।
এই যে নিজে না খেয়ে আমাকে একটু বাড়তি খাওয়ালো তাতে আমার শরীরের বৃদ্ধি হয়েছে ঠিকই, বয়স বেড়েছে ঠিকই কিন্তু প্রতিরাতে মনটা আজও শৈশবেই পড়ে আছে।
মা আমাকে রোজ চুপিচুপি দেখেন, মুচকি হাসেন, বলেন আমার ছেলেটা একদম রাজপুত্তুর!
আমার শৈশবে গড়ে ওঠা মা'র এই অভ্যাস যেন চিরহরিৎ বৃক্ষ।
মা আমাকে ছায়া দিয়ে, আশ্রয় দিয়ে, প্রশ্রয় দিয়ে তিলে তিলে বড়ো করছেন অথচ আমার শৈশবকে রেখে দিয়েছেন মনের সিন্দুকে বন্দি করে!
মা আমার শৈশবকে জীবন দান করে রোজ, প্রতি ঘন্টায়, প্রতি মিনিটে, প্রতি সেকেন্ডে।
মা নেই তো এক নিমেষে শেষ আমাদের প্রিয় শৈশব।
মা, আমার আজন্ম শৈশবের নাম।