প্রত্যুত্তর


তোমার দেয়া শেষ চিঠি
পেয়েছিলাম বছর তিনেক আগে;
এখনো কি আমায় ভালবাস?
মনে শুধুই এই প্রশ্ন জাগে।


সেই চিঠি আজো পরম যতনে
লুকিয়ে রেখেছি তোমার-আমার স্মৃতির ভাজে;
আচ্ছা, তুমিও কি অন্যের হয়েছ?
সেও কি তোমার জন্য আমার মত সাজে?


আজো সেই চিঠির প্রতিটি শব্দে
তোমাকেই খুঁজে খুঁজে হন্যে হই;
আজো শুধু বলি, আমি শুধু তোমার
আমি অন্য কারো নই; অন্য কারো নই।


যখন তুমি আমায় দেখতে আসতে
সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে,
আমি ঠিকই দেখতাম তোমায়
আমার ত্রিনয়ন দিয়ে।


তুমি হয়ত ভুলেছ, আমরা এক
সুতোয় বেঁধেছিলাম দুজনার হিয়ে;
কিভাবে তাহলে দুজনার পথ বাঁকাবে,
সামান্য এক নাটকের বিয়ে।


ভাবছ এত বছর পর হঠাৎ
এসব অবান্তর কথা কেন বলছি,
ভালবাসি যে আজো তোমায়
তাই তো জীবন নিয়ে খেলছি।


যদি অন্যের হয়ে যাও তবে
তোমায় আর কাছে চাইবো না,
শুধু জেনো তোমার ছিলাম, তোমারই
থাকব, আমৃত্যু অন্য কারো হব না।


তুমি ছাড়া আমি আজো
শূন্য, অলিক, অপূর্ণ,
যতদিন বাঁচি অপেক্ষার প্রহর
গুণে যাব, শুধু তোমারি জন্য।


আর যদি আজো পথ
চেয়ে বসে থাক আমারি পানে,
তবে এসে হাত দুটি ধরে ভাসিয়ে
নিয়ে যাও ফেলে আসা পুরোনো দিনে।


আমি আজ থেকে অনন্তকাল
তোমার অপেক্ষায় রইলাম,
তোমারি অপেক্ষায় আজ এই
চিঠি বোতলে ভাসাইলাম।


যদি কোনদিন এই চিঠি পাও
কোন এক শ্যাওলাতুর জীর্ণ ঘাটে;
একটি বারের মত দেখতে এসো
যেখানে আমাদের প্রথম দেখা,
প্রথম পরিচয়, সেই কাশফুলের মাঠে।
একবার এসো, একবার এসো,
শুধু একবার এসে খবর নিও আমার।