এক সহস্র শতাব্দী ধরে সেই আগুন্তকের আশায় আছি,
যার আগমনে প্রলয়ের নিশান উড়বে ধরায়,
তারা খসে পড়বে চুম্বনরত রমণীর ঠোঁটে,
হেমলকে পূর্ণ হবে প্রতিটি পেয়ালা,
যাতে চুমুক দিয়ে ধন্য হবে বলিষ্ঠ সুপুরুষ।
সেই আগুন্তকের হাতের তরবারিতে সূর্যাস্তের শুরু হবে নিশ্চয়,
নৃত্যরত দাস দাসীরা উন্মাদ অঘোরী হবে মুহূর্তে,
চণ্ডাল নরমস্তক হাতে আগুন্তকের স্তব গাইবে,
জল হয়ে উঠবে অগ্নির বাহন, স্ফুলিঙ্গে লাভার মধু ঝরবে,
সেই মধুজল পানে ভস্মীভূত হবে নাগরিক কলেবর!
আমি সেই আগুন্তকের আশায় আছি,
আসবেই সে,
আসলেই বসবে শালিস, চিত্রগুপ্ত খাতা খুলবে,
এক এক করে মঞ্চে উঠবে বিবেক, কালো-সাদা!
আমি মহামান্যর নিকট আর্জি জানাবো,
নিষ্পাপদের মুক্তি দেওয়া হোক,
জালিমদের দেওয়া হোক নরক যন্ত্রণা,
ভয় হয় শুধু-
আমি, তুমি বিচারের মঞ্চে কি একসাথে অমৃতরস পান করবো নাকি এক পেয়ালা হেমলক?