কাল সে বলেছিল আসবে, কি জানি
দরকারী কথা আছে,
আমার সাথে দরকারি কথা?
মাঝে মাঝে তার যে কি হয়, চিনতেই
পারি না তাকে, চিনবই বা কি করে,
কতকাল দেখি না তাকে,
সেই গত মাসে দেখেছি, তাকে ছাড়া আমার কাছে
এক একটা মুহূর্তও যে অনেকটা কাল,
আসবে বলেছিল সেই কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে,
ঠিক যেখানটায় আমাদের প্রথম আলাপ,
প্রথম মন বিনিময়, প্রথম ছোঁয়া, আরো যে কত কি...
সকাল থেকে জানালার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম,
অপেক্ষা,অপেক্ষা,অপেক্ষা...
কৃষ্ণচূড়া ফুল গুলোও অপেক্ষায় থাকতে
থাকতে কেমন তামাটে হয়ে গেল।
আসবে বলে সে আর আসল না
আর আমারও যাওয়া হলো না
অথচ সে আসবে বলে কত
স্বপ্ন দুচোখে বুনেছি কত নির্ঘুম রাতে,
নির্ঘুম রাতে সবাই যে স্বপ্ন দেখতে
পারে তা নয়, কিন্তু আমি পারি -
তবে স্বপ্নগুলো থাকে সবই ওকে নিয়েই,
কত গল্প কেচ্ছা সাজিয়ে রেখেছিলাম
তার জন্য, আসলেই একটার পর একটা
বলে যাব, সে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে থাকবে
আমার পানে, কিন্তু সে এলো না,
আর আমারও যাওয়া হলো না,
সাজানো গল্প গুলোও বলা হলো না।
যদিও আগে কখনো বলা হয়নি, ভেবেছিলাম
এবার আসলেই দুহাত দিয়ে পেছন থেকে
তার চোখ দুটো ধরে বলেই দিব - ভালবাসি,
বলব আমার প্রতিটি রক্ত কণায়,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে তার বসবাস।
কিন্তু সেও এলো না আর প্রতি বারের
মত এবারও বলা হলোনা- ভালবাসি।
তার পছন্দের নীল রঙের শাড়িটা
ইস্ত্রি করে রেখেছিলাম, সাথে ম্যাচিং করা
কানের দুল, দু হাতের পনেরটি করে ত্রিশটা
নীল আর সাদা রঙের কাঁচের চুড়ি, আর
ছোট্ট একটা নীল বিন্দি, ভেবেছিলাম দেখেই
অপলক তাকিয়ে থাকবে আমার দিকে,
আমি লাজুক লাজুক মুখ করে নায়িকার
মত বলব- কি দেখো এভাবে?
কিন্তু সে তো এলোই না আর আমারও সাজতে
হলোনা তার জন্য। তবে এসেছিলো একটা
খাম, ভেবেছি হয়ত আসতে পারেনি বলে মান
ভাঙাতে বাবু বুঝি উপহার পাঠাল, হ্যাঁ উপহারই
বটে, তবে মান ভাঙাতে নয় মন ভাঙতে,
খাম খুলতেই বের হয়ে এলো তার বিয়ের কার্ড।
হবে হয়ত কোন লাট সাহেবের দুলালির সাথে,
সেদিন সে এলো না, আর আমারো বলা হলো না
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি!!!!
সেদিন এসেছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার।