মোর হৃদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি
তোমার চরণযুগলের তলে
আজও ইচ্ছে করে স্নেহের
ঘুম ঘুমাই তোমার কোলে।
মা গো মাতৃদিবস এই একদিন যথেষ্ট নয়
মোর প্রতিটি মুহূর্তই তোমাকে হৃদয়ে বয়।।
তোমার অদৃশ্য প্রতিবিম্ব দেখে
বাড়ির সাবেকি আয়না
মা গো আজ যদিও সে
তোমার স্পর্শ পায়না।
পুরোনো সিঁদুর পাত্রটি
তোমার আঙুলের স্পর্শ ভোলেনি
স্পর্শটুকু রাখবো বলে,কেউ
তা আজও খোলেনি।।
বাড়ির চার দেওয়ালে আজও পাই
তোমার অস্তিত্বের ঘ্রাণ
বাবা তবুও হৃদয়ে বাঁচিয়ে
রেখেছে তোমার প্রাণ।
মনে পরে স্কুল থেকে এসে
তোমার হাতে ভাত বেড়ে দেওয়া
মা গো তোমার বকা খেয়েও
গোগ্রাসে খেয়েই খেলতে যাওয়া।।
তোমার যাওয়ার দিনটি আমার সর্বস্ব বিশৃঙ্খলা লয়
প্রতিটি সন্তানই এরকম দিনে মাতৃ ভিক্ষুক হয়....!!
তোমার বিদায় বেলায় শেষ প্রণাম করেছিলাম....
তোমার পায়ের স্পর্শে চক্ষুযুগল ভিজিয়েছিলাম।।
স্মৃতির ঘ্রাণে মা গো তোমায় বড্ড পরে মনে
আজও স্মৃতিগুলো স্পষ্ট শোবার ঘরের কোণে।
প্রতিমুহূর্তে মাতৃঘ্রাণে হয়েছি আমি মাতৃ পাগল
মোর চক্ষু দেখতে চায় শেষ
দেখা তোমার পদযুগল।।
রাতে ঘুমের আগে জানলা
দিয়ে দেখি যখন নীল আকাশ
ঠিক তখনই মা গো তুমি
পাঠাও আশীর্বাদের বাতাস।
তোমায় নিয়ে লিখতে গিয়ে
হৃদয় পেয়েছে অক্ষমতার আচড়
লিখতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ক্ষত বিক্ষত
হয়েছে বক্ষ পাঁজর।।