বিশ্বসুন্দরী বা জাতীয়  সুন্দরীর প্রতিযোগিতা
হর হামেশায় ঘটে,
বিভিন্ন মহলে এর কদরও খুব বেশি।
সবাই অধীর আগ্রহে থাকে-
কে হচ্ছে সময়ের সেরা সুন্দরী?
পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন  মিডিয়া জগতেও
এই নিয়ে চলে ব্যাপক তোলপাড়!
নারী সৌন্দর্য নিয়ে জগতে প্রবল আগ্রহ,
কিন্তু কখনো সমান আগ্রহ দেখিনি-
পুরুষ সৌন্দর্য্যের বিষয়ে এহেন ব্যাপার!
পৃথিবীর কোথাও সেরা সুন্দর পুরুষ নির্বাচন
হয়েছে কিনা আমার জানা নেই,
পুরুষের সৌন্দর্য কি তাহলে মূল্যহীন?
বিয়ের ক্ষেত্রেও সবাই সুন্দরী নারী খোঁজে,
কিন্তু বরের সৌন্দর্যের ব্যাপারে-
আর দশজনের মত কনেরও থাকে উদাসীনতা!
কনের নিকটও মূখ্য,বর দেখতে কেমন তা নয়-
বর কি করে?তার উপার্জন কেমন তা!
এ কারণেই কি এ প্রবাদ তৈরী হয়েছে যে-
"নারী প্রেম করুক যথা তথা, বিয়ে করবে ধনী দেইখা।"
এ যেন প্রকৃতির বংশগতি রক্ষার সে চিরায়ত খেলা-
প্রজাপতি বা ভ্রমর যেমন বা যে বর্ণেরই হোক না কেন,
ফুলকে সদাই আকৃষ্টকারী ও নয়নাভিরাম সুন্দর হতেই হবে।
আর পুরুষ কে হতে হবে তামাটে পরিশ্রমী
ও মধুপানের তরে সদা প্রতিযোগী-বিজয়ী।
কেউ যদি আমার এ কবিতা কে বৈষম্যমূলক মনে করে,
আমি বলব আপনি একেবারেই ঠিক-
আমিও চাই এ বৈষম্য  চিরতরে উঠে যাক।
বিশ্ব সেরা সুন্দরীর সাথে বিশ্ব সেরা সুন্দর পুরুষও চালু হউক?
হবে কি,বা হলে তা বেমানান দেখাবে কি?
কিংবা তার সঠিক কদর বা চাহিদা থাকবে কি?
প্রকৃতি সব সময়ই বৈষম্য পছন্দ করে,
বৈষম্যই জগতের চালিকা শক্তি ।
বৈষম্যের দ্বন্দেই জগত সৃষ্টি ও চলমান-
আবার যে দিন কোন বৈষম্য থাকবে না,
সেই দিনই হবে জগতের শেষ পরিনাম!