“চাপাবাজি”
তোমার কল্যাণে আজ চলছি আমি, পড়ছে পেটে ভাত।
হাতে নাইকো একটি টাকা, করছি সব কাজ।
তোমার বলে সবল আমি- দাপট দেখাই কত,
উপরেতে পূর্ণ রাখি, ভিতর থাকে শূন্য।
কারো কাছে নেশা তুমি, কারো কাছে পেশা
আমার কাছে জীবন চলার তুমিই যে ভরসা।
টাকা বল, মামা বল নেইকো যাদের কিছু,
তাদের নিকট চাপা হল বেঁচে থাকার ইস্যু।
তুমি বেঁচে আছ বলে, বাঁচছে কত প্রাণ,
নিত্য চাপা ছেড়ে যারা করছে জীবন অবসান।
মোদ্দা কথা-চাপা তো ভাই কেউ সাধে ছাড়ে না,
মিথ্যা বলাও কাহারো মনে নিত্য চাহে না।
যাহাদের মনে প্রশ্ন জাগিয়া উঠে এমন-
তবুও ওরা গায় কেন চাপার এত গান?
তাহাদের তরে বলি আমি-
আত্মহনন করে কেন অনেক জ্ঞানবান?
ইহার উত্তর, তাহার উত্তর হয়তোবা একই,
কেউবা করে মৃত্যুবরণ, কেউবা চায় বাঁচি!
বেঁচে থাকার সকল দ্বার রুদ্ধ হয় যখন,
চাপাবাজি বাধ্য করে গায়েন হতে তখন!
আসলে চাপা ওদের স্বভাব নয়, নিয়তি কর্তৃক দান,
সময়ের টানাপোড়েনে হয় স্বভাব, হয়ে যায় গান।
সবাই ওদের গালি দিলেও, দেইনা আমি কভু,
কারণ,”জান বাঁচানো ফরজ” বলিয়াছেন প্রভু।
শুধু তাদের জন্য থাকবে আমার দুয়ো,
চাপা দিয়ে অকারণে যারা ফায়দা লুটে শুধু!


25/08/2001
10:55 am
মহাখালী,ঢাকা