বিস্তির্ণ জলরাশি চন্দ্র-সূর্যের টানে কলরব তুলে চলে,
কখনো পুব থেকে পশ্চিমে কিংবা উল্টোপথে।
জলে-জালে মিলেমিশে জীবিকা যেথায় অহর্নিশ চলে-
সেথায় প্রিয় জন্মভূমি হাতিয়া, রাক্ষসী মেঘনা গ্রাসে।
কত বড় রাক্ষসী সে!
খেয়ে নিয়েছে পেটে আধেক, আমার প্রিয় হাতিয়াকে।
সারি সারি কার্গো জাহাজ,ওপরে নীল আকাশ-নদী বয়ে চলে,
কুল জুড়ে ঢেউ শুধু ছলাৎ, ছলাৎ বাজে-
উত্তরের দৃশ্য সদা এমনই চলে।
এখানে গল্প,কবিতা,উপন্যাস চোখে জীবন্ত হয়ে ওঠে।
এখানে অদ্বৈত বাবু তিতাস নিয়ে বসে,
কিংবা মানিক বাবুর মাঝি আজও দাঁড় বেয়ে চলে।
এখানে পাড়াপাড়ে দুর্ভোগ আজও অগোচরে,
এখানে শত শত বাড়িঘর অহরহই জলে ধ্বসে পড়ে।
দক্ষিণে সুনীল বঙ্গোপসাগরের কোলে,
তিলোত্তমা হাতিয়া বুঝি ধীরে ধীরে বাড়ে-
নয়নাভিরাম সেই সৌন্দর্যর কথা কে কাহারে বলে?


06/02/2015
11:15 pm
d.m