যদি দেখ কোন একদিন পৃথিবীর সমস্ত চিঠি হাতে
ডাকপিয়ন কড়া নাড়ে তোমার দরজায়,
বেনামী নীল খামে এ চিঠি পাবেই, আমি জানি।
“প্রেরক”-এর নীচে কোনদিনও হতদৈব এ নাম লিখিনি,
হয়ত উত্তর দাওনি, কিংবা দিয়েছ
প্রাপক-এ “বেওয়ারিশ” লিখে,
সে চিঠি পচে গলে জঠরগত করেছে ‍উদ্ভিদ।
আমি ক্রমাগত হারায় ফিরবো বলে, ফেরা ঠিকই হয়-
হারাবার তরে, পাওয়া হয়না কিছুই; সে অর্বাচীন
কিশোরের ছুড়ে মারা লাটিমের মতো ঝিম ঘুরে যায়
তোমার কেন্দ্রে।
আমি সেই পতঙ্গ, যে ‍বুকে অমৃত নিয়ে মরণ ক্ষুধায়
মরে যায় মিলনের পরে, হাজারে হাজারে বাঁচবো বলে।
কতবার ঘর ছাড়া করবে আমায়?
তোমার হৃদয়ের রক্তের উপর যার ভাসমান ঠিকানা,
বাঁচার স্বপ্ন বুকে আঁকড়ে যে রোজ রাতে মরে যায়, তাকে-
মৃত্যুদণ্ড দিতে দিতে তুমি ক্লান্ত হয়ে যাবে।
শ্রাবণ ধারায় তোমার শার্শির ঘোলা কাঁচে আমি ফিরে আসবো,
একাকী নিশীথে চোখের উষ্ণ নোনা জলে আমি ফিরে আসবো।
তোমার গাড়ীর ওয়াইপার কতবার মুছে দেবে আমায়।
আমায় পুড়িয়ে দেওয়া নীল শাড়িটি আর যেন পরোনা বৃষ্টিতে, সে
তীব্র নীল আগুন জ্বালিয়ে দেবে পিচ কালো রাস্তায়,
ফুটপাতে, ধোঁয়া তুলে কোল্ড কফির পেয়ালায় ছেঁকা দেবে
নব প্রেমিকের নাগরালি কম্পিত ঠোঁটে।
প্রাপক, বনলতা,
আমি আবার নোঙর করছি তোমার ঘাটে,
আরও একবার পুড়িয়ে মারার মৃত্যুদণ্ড দেবে কি?
বেওয়ারিশ।