জ্যামে অথবা ফুটপাতে যদি দেখা হয়ে যায় প্রিয়,
চৈত্র দিনের আগুন লাগানো নীরব হাসিটি দিও।
ভুল করে যদি বলে ফেলি “কেমন আছো?”
বলোনা কিছুই, যেমন করিয়া নীরবে চলিয়া গেছো।
দেখা হবে নাকো চোখের বয়স, চুল কটা পাকা হলো,
দুজনেরই মনে একই নিবেদন; “পেছনে ফিরিয়া চলো”।


বদল হয়েছে চায়ের দোকানি, বদ্‌লেছে চা-পাতি,
বদলে হয়তো সবাই গেছে, বদ্‌লেছে বসুমতী।
নেভেনি আগুন, নেভেনা আগুন, ধিকি ধিকি শুধু জ্বলে,
আমরা কেবলই পুড়িয়া চলেছি আততায়ী প্রেমাণলে।


দেখবে তখন নীল আকাশ থেকে হঠাৎ নামিবে বৃষ্টি,
এলোমেলো ভাবে ছাঁউনীর খোঁজে ছুটিবে সকল সৃষ্টি।
শত মানুষের কত কোলাহল বরষা করিবে হেলা,
ছাঁটে ছাঁটে শুধু আমাদেরই সাথে খেলিবে বারীষ খেলা।
বৃষ্টির সাথে অভিমান করে ফোটাবে তোমার ছাতা,
মাতাল হাওয়ায় উড়ে যাবে সে, যেমন কবির খাতা।


জীবনের টানে রিক্সাওয়ালারা ভিজে যাবে আনমনে,
কেবলই শুধুই ঝড় বয়ে যাবে আমাদেরই দুটি মনে।
থাকবেনা হাতে মেহেদির রঙ, কনক অঙ্গুরীয়;
মনের গহীনে এখনও যে আমি তোমার উত্তরীয়।


বরষার ধারা আঙুল বোলাবে নীল জলা আঁখি নীরে,
ছাই রঙা মেঘ ছবিখানা তব আঁকিবে বুকের পরে।
বিধাতা তখন আপন খেয়ালে তৃপ্ত নয়নে চাইবেন,
পথের শিশুটি ভেজা ফুল হাতে বলবে “স্যার লইবেন?”
অহেতুক আজ, কে কবে কোথায় দিয়েছিল মিছে আশা,
সিক্ত হাওয়ায় উড়িবে শুধুই আমাদের ভালবাসা।