কোন যাযাবরের হাত ধরে বলতে পারো,
“এবার থামো, আর হেঁটনা”
অথবা-
নিদাঘ দুপুরে কোন চাষার ঘামে আঁচল ভেজাতে,
,,, ,,, ,,,পারলে কই! অথচ দেখ-
তোমার আমার এই কথা ছিলনা,
বলেছিলে-
“একটা মালা, তোমার নামে নাকফুল আর তোমারি পরানো আংটি”
কি ভেবেছ, আমি ভুলে গেছি সেসব?
সে মহাজাগতিক রশ্নি হয়ে পৃথিবীর বাতাসে ভাসে।
আজ তুমি জেসমিন-এ সুবাসিত,
না হোক জেসমিন, বেলি ছিল, শিউলী ছিল, হাসনুহেনারা
আজও তোমার গ্রীবার ঘ্রাণ বয়ে ফেরে আমার চারপাশে।
আমি আলগোছে হেঁটে যায়।
তুমিতো জানতে আমার খেয়ালীপনা,
তথাপি লাটাই তো তোমাকেই সঁপেছিলাম,
সুতো কেটে কি সুখ পাও তুমি!
এই মুক্তি তো আমি চায়নি!
আজ তোমার বৈভবিক খতিয়ানে দুঃখ বেদনা
অবচয়ে রেখে দিব্যি সৌখিনতা কিনতে পারো,
ঢেকে দিতে পারো দীন হীন ভালবাসাকে
কারুকার্য খচিত মখমলি বসনে,
পেছনের গল্পের আগে আষাঢ়ে লিখে ‍দিতে পারো অনায়াসে।
এমন তো কথা ছিলনা প্রিয়,
সেদিন কানে কানে বলেছিলে-
“মরণ যদি সত্যি হয়; বাঁচবো একে অন্যের তরে”
আমি কেন বেঁচে আছি, মৃত্যু সাক্ষি দেবে।