করি করি কাজ
কাজে নেই লাজ
ভাবি সারাক্ষণ;
কি করি এখন।
যদিও বা পায়;
করা বড়ো দায়,
দম ধরা বায়ু,
কমে যেন আয়ু।
যদি পায় অক্কা!
জীবনটা ফক্কা।


ডেকে বলে বুকি,
কাজে যাবি নাকি?
ভেজা আছে নাক,
আজ নয় থাক।
পায়ে ফেলে ঘাম,
কত দেবে দাম?
গ্রীষ্ম এখন,
পরে যাব ক্ষণ।


মাস হলো পার,
কাজ নাই আর,,,
দে না ভাই কাজ,
বসে আছি আজ।
যেই কাজ দিবি,
করে দেবো সবি।
পাওয়া যদি গেল;
বৃষ্টিতে খেলো।
যায় কি তা করা!
ছাতাটা যে ছেঁড়া।


শরতের রোদটা
পুড়ে যায় পিঠটা
পানি করে রক্ত
কাজ করা শক্ত।
কটা দিন যাকনা
চলছে চলুক না!
নেবো কাজ সেরে,
কাছা কষে মেরে।


কাজ কাজ কাজ
কাজ নেই আজ।
পায় যদি একটা;
ভরে যেত জেবটা।
পুঁচু আর টেলে,
কাজ করে কলে।
কলের ঐ ধোঁয়াটা-
যায় না যে সওয়াটা,
ভট ভটি শব্দ-
কান করে জব্দ।


ওরে বাবা ঠাণ্ডা
মারে যেন ডাণ্ডা।
ভোর বেলা উঠতে!
এই নাক খপতে।
নেবো কটা ফুটিয়ে
নুন নেবো ছিটিয়ে।
এই বেশ ভালো
কম্বলে চলো।


কাজ করা ছলে
পথে হাঁটা কালে;
দেখা হরো মাস্টার
য়াব্বড় জ্ঞান তার।
বললেন সেধে,
হাত রেখে কাঁধে,
শীল্পের দেবতা,
দিয়েছেন বারতা,
“শোন্ ওরে বোকা,
কারে দিস ধোঁকা?
কাজ পেতে চাস?
কর্ অলসতা নাশ।”