সেই পরিচিত একই শব্দে রাত্রি আসে।
কীটেদের কথোপকথন,
মাঝে মাঝে নিশাচরের নিজেকে জাহির করার শব্দ, যা-
আমি বুঝিনা।
কি এক অজানা কারণে, আজও জেগে আছি,
ঘরে বাইরে কেবলই অন্ধকার।
জোনাকির টিমটিমে আলো, গহীন অন্ধকারের গায়ে
গয়নার মতো জড়িয়ে আছে।
আমি মিশে গেলাম, সে আঁধারের গভীরে, আরও গভীরে,,, ,,, ,,,
সে কানে কানে বলল;
“আমি তোকে দিলাম নিস্তব্ধতা,
তুই বলে যা তোর আলোর কথা,
ব্যথা, বেদনা যত বিষন্নতা,
আমি লিখে দেব অমর পাণ্ডুলিপিতে”
আমি সুযোগ পেয়ে-
নবকুমারের কবিতার মতো,
গড়গড়িয়ে বলতে শুরু করলাম।


ঘোরের ঘরে ঘোর লাগাতে-
আবার পথ খুঁজে নিয়েছে ছাতিমের গন্ধ,
সে কেমন একটা পথভোলানো নেশা ধরায়, ভাবি,
তার সঙ্গে চলে যায় কদম গাছের কাছে,
যেখানে সে একসাথে মিশে একাকার।
ক্ষণকাল পরেই-
কেমন যেন মখমলি শব্দ নিয়ে
ভোরের কুয়াশা এলো,
দেখি পৃথিবীর সমস্ত ফুল সাদা হয়ে গেল,
আর শিশির হয়ে গেল নীল,
সে যে কি অপরূপ দৃশ্য!
আমি চমকিত হয়ে ভাবি;
এখন যদি আগুন জ্বলে ওঠে, তার রং হবে নিশ্চয় সবুজ,
সমস্ত ভস্মকে সে ফিরিয়ে দেবে আগের রূপ।
অন্ধকারের রূপ এতো সুন্দর হয়!
চেতনা পেরেকের মতো বিঁধে গেল স্নায়ুতে।
রাত বিদায়ের শব্দ ভেসে এলো-
এসো শান্তির দিকে, এসো কল্যাণের দিকে।
প্রাতরাশ নিয়ে কাড়াকাড়ি, দুটো কাক।