পিচ ঢালা রাস্তার দু-ধারে পোস্টার আর সাইনবোর্ড মোড়া;
কেউ বিরিয়ানি, কেউ মহৌষধী, কেউ মুক্তি চাই,
ফ্লপ সিনেমার শিরোনাম “মেয়াদোত্তীর্ণ প্রেম”।
নার্সারীর সামনে মায়েদের রুলি, শাড়ি, সেই সাথে-
স্বামীদের কেয়ারিং-কেয়ারলেসের প্রতিযোগীতা;
কিছু হাসির স্বরলিপি যেন তার সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশ হাত তুলে দাঁড়িয়ে যেন ভাবছে;
গিন্নির প্রিয় ডিমওয়ালা ইলিশ আজ চাই ই চাই, আর-
পেছনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো সমানে হর্ণ বাজাচ্ছে-
আগে এলে আগে পাবেন এর দোকানে যাবার।
কে যেন গ্রিন সিগন্যালের নীচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে;
তার উচ্চতা, তার সমান, দূর থেকেও মাথা দেখা যায়।
খাঁচা ভর্তি জানোয়ারের গোল চত্বর,
ঘিঞ্জি অট্টালিকাগুলো থেকে চাপা কান্নার শব্দ;
বেলা বোস কাঁদছে, কানে আঙুল দিয়ে; দাদা এন ৯৫ হবে?
ট্রাফিক সার্জেন্ট, শহুরে পুলিশ, আমলা, আমার ভাই-
তোমার ভায়ের গা থেকে নৈতিকতার পচা দুর্গন্ধ-
মাস্ক ফুঁড়ে ঢুকে যাচ্ছে ফুসফুসে।
পাঁচিলের গায়ে স্টিকার;
(অক্সিজেনের জন্য যোগাযোগ করুন)
সরকারী নির্দেশের কুড়ি জনের একটি বাস এ-
এক প্রৌঢ়া ধাক্কা ধাক্কিতে পড়ে যাবার উপক্রম।
এক অষ্টাদশী, অভিমানে প্রিয় আইসক্রিমটি ছুঁড়ে ফেলে দিল;
তার মতো, একদম অবিকল তার মতো।
একগাদা ছেদলা পড়া হলদে দাঁতের হাসি নিয়ে-
এক যুবক বলছে,
দাদা আগুন আছে? আমার বিড়ি নিভিয়ে গেছে,
আমার ভিনটেজ লাইটার, হোয়াইট পেট্রল ঢোকাতে হবে।
ডাস্টবিনের পাশে পড়ে পাওয়া হাতুড়িটা নিয়ে সারাদিন হাঁটছি,
এক ভিখারীর থালায় সেটি রেখে দিয়ে স্ট্রীট লাইটের নীচে বসে আছি-
কখন আলো জ্বলে উঠবে!