সাত পাঁচ চোদ্দ হলে,--- দুই টাকা জের;
তোমার সুখেই সুখি, বুঝলে কি ভায়া!
সলিল চৌধুরী বলে, “শপথ” বেহায়া-
তেভাগার জোতদার, অহল্যা দুস্তর।
ভুখে লাথি মেরে কর ভাতের বেপার!
হারায়নি আধিয়ারী, আজো আছে ছায়া,
কোথা আছো শেরেবাংলা! ঢুণ্ডি তব কায়া,
ইলা তুমি দেখে যাও, বাটোয়ারা হার।


স্বপ্ন বেচে শীতবস্ত্র করে বিতরণ,
দালালে দালালে করে হাড় কাড়াকাড়ি।
বাড়তি টাকায় বিকে পায়ে ফেলা ঘাম-
স্বপনের দেশে চলে এই অবিরাম।
সুদিনের জয়গান ঢোকে পর্দা ফুঁড়ি;
ক্ষুধা তবু শুধে যায় ঋণ আমরণ।


(পেত্রার্কীয়, অক্ষরবৃত্ত, বর্ণ বিন্যাস: ৮+৬, অন্ত্যমিল: কখখক : কখখক :: গঘঙ : ঙঘগ )


শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবি জনাব মোঃ আমির হোসেন –এর “বন্ধ্যা বানরের প্রসব যন্ত্রণা” কবিতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং আমার লেখা “আমি মুক্তির নীল” কবিতায় পরম প্রিয় কবি জনাব অপরিচিত(রাজ চৌধুরী) –এর মন্তব্যে শ্রদ্ধেয় সুরকার, গীতিকার ও কবি সলিল চৌধুরী কে স্মরণ করিয়ে দেওয়া থেকেই, এই কবিতার অবতারণা।  দু’জন প্রিয় কবিকেই জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।