পুরনো অভ্যাসে-
জন্মদিনের “উড়া উৎসর্গ” হাতে বসে আছি।
যে বাঁশির সুরে আমার নামের স্বরলিপি থাকেনা;
সে বেণু-মূলে অর্ঘ্য দান আমার পাপ।
তাই এ উৎসর্গ বেনামী, অনামী, উড়া।
এ দায়বদ্ধতা একান্ত আমার, তার নেবার কোন দায় নেই।


কন্যা চক্রের এই দিনে চোখ মেলেছিল এক উর্বশী;
সূর্যের মতো জীবনদায়ী প্রভা নিয়ে।
সে প্রভায় নব পল্লবে সেজেছিল প্রকৃতি,
অঙ্কুরিত হয়েছিল নতুন বীজ,-
হরিত হয়েছিল হরিদ্রো দুর্ব্বা।
তার প্রভাদীপ্ত পূর্ণ হৃদয় উপচে পড়েছিল,-
কতো আদরে, মমতায়, স্নেহে, ভালোবাসায়।
আঁধারে নিমজ্জিত আমি, একটুখানি আলো কেন চাইবোনা!
আলো কই! আলো দাও প্রিয়! আরো,,, আরো আলো দাও!
তার অসীমানুরাগে যত আলো সব আমাকেই দিয়েছিল,-
পুড়ে গেলাম, পুড়ে ছাই হয়ে গেলাম।


ভাঙা রাস্তায় জমা জল থেকে
সূর্যালোক ঠিকরে পড়তেই,-
ভেতরটা ঘর পোড়া গরুর মতো কুঁকড়ে গেল,-
আবার ভাবি, ছাইয়ের গায়ে কখনও আগুন ধরে নাকি!
সাগরের নাম অক্ষুন্ন রাখতে নদীকে যেমন শুকাতে হয়;
তেমনি অনেকের হৃদয় সজীব রাখতে-
আমারটা পুড়ে গেল,
বিলীন হয়ে গেল সমুদ্র সুধাবারির অতল গভীরে।