হে মালিক-এ-জাহান, লহ এই দুয়া,-
নাদান-এ-মুহাব্বাত চায় ইনতিহা’-
চায় এ গুনাহগার দিদার-এ-রাহা;
জান্নাত না চায় - মোর সামান্য চাওয়া।
ক’দিনের মেহেমান, নগণ্য দুনিয়া!
এই পেরেশানী কর সলিল সুরাহা।
সুবহে চিরাগ আমি, নিভে যাক তাহা;
তব প্রেমে মত্ত আমি গর-ঠিকানিয়া।


সেই রূপ দেখিবারে ঈহা জাগে মনে;
যার তরে এতো প্রেম, প্রাণ বাজি রাখি;
নিশি-দিন মশগুল; তোমারি ধেয়ানে।
ছেড়ে দেব এ জাহান; হ’তে মুখো-মুখি!
বড় বে’আদব আমি; সাজা চাই প্রাণে,
সে রৌশানে জ্বলিবারে উতলা এ আঁখি।


শব্দ ব্যাখ্যা:
ইনতিহা’ > পরীক্ষা
দিদার > সাক্ষাত
রাহা > সুরাহা অর্থে
ঈহা > বাসনা


( পেত্রার্কীয়, অক্ষরবৃত্ত, বর্ণ বিন্যাস: ৮+৬ )


হযরত মুসা (আ:) মহান আল্লাহ তা’আলা কে দেখার প্রবল ইচ্ছা পোষণ করলে, আল্লাহ তা’আলা বলেন, তুমি আমাকে দেখার সামর্থ্য রাখনা।  কিন্তু মুসা (আ:) যে কোন উপায়ে আল্লাহ তা’আলা-র সাক্ষাতের বাসনা ব্যক্ত করলে মহান আল্লাহপাক তাকে একাকী তূর পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে বলেন। সেখানে পৌছালে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, তুমি কি প্রস্তুত আছো? মুসা (আ:) সম্মতি জানিয়ে চোখ মেলতেই অত্যুজ্জ্বল আলোক দীপ্তি (নূর) দেখতে পেলেন, সে আলোক এতোটাই উজ্জ্বল ছিল! মুসা (আ:)-এর চোখ এবং দেহ তা ধারণ করতে অসমর্থ হয়ে পড়ে এবং তিনি অসার (fainted) হয়ে পড়েন, আর সমস্ত তূর পাহাড় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।