ওই আসমানেতে উইড়া চলে ছড়ায় দিয়া পাঙ্খা,
পরাণডা মোর কাইন্দা মরে, পক্ষির উড়ান দেইখা।
যোয়ান কালে পক্ষির সনত হইছিল মোর কতা,
ছাইড়া যদি যাই গো বন্ধু; খায় যেন মোর মাতা।
সোনার বরণ পাও দু’খানি, কেমনে শিকল বাঁন্দি,
উইড়া যাইবো পক্ষিরে মোর, হেই কতা না জানি গো-
হেই কতা না জানি।


কামের শ্যাষে সাঁজের বেলায় সোনা মুখখান দেইখা;
জুড়াইতাম মোর পরাণখানি চোখে চোখখান রাইখা।
বাত্তি জ্বলে টিমটিমায়ে-- চাঁন্দের আলোয় বইসা,
সুকির-দুকির কত কতা, কইতো পক্ষি আইসা।
একদিন না হইলে দেকা, বন্দু যাইতো খেইপ্পা,
এদ্দিনে কি বন্দু মোরে মুছি দ্যাছে মন থিইক্কা!
পাঙ্খা যখন আছিলনা; উড়াইচি হাত ধইরা,
পাঙ্খা যখন হইলো বড়ো, পক্ষি গেল উইড়া।
শরম ভোলা নরম শইল, কেমনে খাঁচায় রাহি,
উইড়া যাইবো পক্ষিরে মোর, হেই কতা না জানি গো-
হেই কতা না জানি।


ও গাড়িয়াল তুমার গাড়ি হাঁকাও দ্যাশে দ্যাশে,
কইতে পারো! পক্ষি আমার কার চালেতে বসে!
কুন গাছেতে খড়ের কুটোয় ঘরের খুয়াব বান্দে,
জড়ের সনত কইমু কতা হেই ঘরত না বাঙ্গে।
আমার পক্ষি পরের ঘরত, কেমনে আমি মানি!
উইড়া যাইবো পক্ষিরে মোর, হেই কতা না জানি গো-
হেই কতা না জানি।