দীঘল কালো চুল খুলে,
টানা টানা চোখ মেলে,
পূর্নিমা রাতে জোছনা বিলাসে,
কে যাও মেয়ে একা?

কোন ঘরের মেয়ে তুমি?
জোছনা রাতে নূপুর পায়ে,
শিউলি তলে খালি পায়ে,
কোথায় যাও একা?

একটু খানি দাড়াও তুমি,
দেখতে দাও তোমার মুখ,
কৌতূহলে শিহরণ জাগে,
দেখবো আজ তোমারে।

পিছন থেকে দেখে আমার মন ভরে না,
সামনে এসে দাঁড়াও মেয়ে,
দেখবো আজ চোখ মেলে,
মনের খাতায় আঁকবো তোমারে।

*আমি না গো তোমার মনের মতো,
কালো কয়লায় মুখ খানি মাখা,
দেখলে তোমার লাগবে ভয়,
তাই তো এ মুখ দেখাবো না।

আরে এত বড় ঘোমটা কেন?
ঘোমটা খানি একটু তোলো,
মুখ খানি দেখবো তোমার,
শুনবো না আজ কোন মানা!

*দেখবে যখন দেখো তবে,
জোছনা রাতে অমাবস্যা রূপ।

দেখে আমার প্রান জুড়ালো,
শ্যাম বর্ণ তাতে কি হয়েছে?
সাদা কালোর কি বা তফাৎ
মনের রূপ আসল রূপ।

*হাসালে আজ ওগো কবি,
তোমার কথায় লাজে মরি,
এমন কালোরে কে নেবে ঘরে?
কে করবে ঘরের ঘরোনী?

যে মেয়েটা হাসলে পরে,
শত শত মানিক মুক্তা ঝরে,
তার কি হবে ঘরের অভাব ,
দেহের রূপ নয়,আমি মানি।

*কথার বেলায় সবাই কাজি,
কাজের সময় দৌড়ে বাজি।

আমি যদি নিয়ে সাথে,
পারি ধরি জীবন চলার,
আসবে কি তুমি আমার সাথে?
হবে কী আমার জীবন মাঝি?

*দেখো আবার পালাবে না তো?
সকাল হলে আমায় দেখে,
যখন সকল লোক জানবে,
বলবে তারা অট্টহেসে,
পেলি কোথায় এমন কালো?

আরে না, দিচ্ছি আমি তোমায় অভয়,
যাবনা ছেড়ে মৃত্যু ছাড়া ,
বলবো ওদের বুক ফুলিয়ে,
আমার বৌ মায়াবী আলো।

*আজ আর না, ওগো কবি!
ঐ,সকাল হলো মোরগ ডাকে,
বিদায় কবি বিদায় তোমায়,
আসি আমি এখান থেকে।

আবার কবে আসবে ঘাটে?
দেখবো তোমায় মন  ভরে,
বলে যাও বিদায় বেলায়,
দেখবো তোমায় মন থেকে।

*আবার যেদিন চাঁদ উঠবে!
শেষ আকাশে সূর্য ডুববে,
সেদিন এসো ওগো কবি,
আসবো আমি সেদিন আবার।

অপেক্ষাতে থাকবো তোমার,
পথ চেয়ে সে পূর্নিমার,
সেদিন আবার পাবো দেখা,
বিদায় মায়াবী বিদায় তোমায়।