নানা বন, নানা ক্ষেত, পথের দু-ধারে
আঁকাবাঁকা চলে পথ দিগন্ত ওপারে
সবুজ সেই ধানক্ষেত উঠিয়াছে মাতি
শিশির দুলায় দুলাইছে মাথা প্রভাতি
মৃদু মৃদু বহে বাতাস, ঝিকিমিকি রোদ
পাখির কোলাহলে চারিদিকে উঠেছে আমোদ
শাল বন, কাশ বন, মেঘে ঐ ঢেউ
অজানার খোঁজে তাই পিছে ছুটছে কেউ
গাঙচিল উড়ে যায় ' শো- শো' রবে
মাছরাঙার ভ্রুকুটি মাছেরা ভুলিছে কবে
আমাদের বাংলা ষোল আনাই বাঙালের প্রায়
মন্ডা-মিঠাই লয়ে হাতে আত্মীয়ে ধায়
বার মাসে তেরো পার্বনে কাজল আঁখি নারী
সকল কালের দেশের মাঝে সে সেরা সবারি
শহর মাঝে উঠে ধূম কারখানার তালে
উঠছে পাহাড়, উঠছে গৃহ, নীল আকাশ তলে
ব্যস্ত দিনে ব্যস্ত মানুষ হুড়মুড়িয়ে চলে
তাই পাপড়িগুলি বড্ড ঠাসা হলুদ ফুল দলে
জাগায় মন, জাগায় ভাষা, সকল কালে
নদীর মাঝে লেগেছে বাতাস নাওয়ের পালে
ছুটছে ধু-ধু প্রান্তরে বালিয়াড়ি সম
চায় যে কোথা ঠাঁই হে হইয়া অন্তরতম
মন মাঝির ঐ নাওয়া-খাওয়া হবে তখন সারা
নীল আকাশের মাঝে যখন উঠবে শত তারা
তিলে তিলে একটু একটু জমাইয়া হে ধন
বাঁধিবে তাঁরা স্বপ্নালয় করিছে হে পণ
মন মেজাজির হয়তোওবা হয়না কোথা ঠাঁই
ণিপুন হাতে বুনে জাল পরে তা ফিরে পাই।