যথাবিধি রচিলাম গ্রন্থ মনপূত
তাহাতে না হয় দেবী মোটেই অযুত
সরস্বতী করিয়াছিল বিধান বড়
যথারত খুলিয়া অঙ্গ তোমার ষড়
তাহা  মানিয়া বসিলাম একদিন হা
চিত্তে যেন লাগিল মোর বিদ্যা-হাওয়া
ব্রহ্ম-পাশে বাঁধিল দেবী তাই আমারে
বলিল, লিখ হে কাব্য পূর্ব পীড়া ভারে
শত ফুল যাহা বাঁধিবে তোমা তা আন
রহ মোর অঙ্গনে পূরিয়া তব মান
সাতক্ষণ রক্ষি সে কলসী দাও আনি
যাহা পূরাইবে তেষ্টা গ্রীষ্ম ভরি পানি
তাই হইলাম আমি যখন তা যুত
পারিলাম রচিতে কবিতা শত শত
' হা-ভাই, হা-ভাই' তাই সবে প্রশংসী
এবং বাজিল হৃদে সে শ্যামের বাঁশি
আমি হলাম বংশসুদ্ধ ণমঃশূদ্র
ধর্মে হিন্দু, কর্মে শুদ্ধ, আচরনে ভদ্র
তাই দেখিবে যেথা এক, চার, সাত  সংখা হে
তাহা হতে মোর অভক্তের কাটিবে দিন দুঃসহে
আর ভক্তের হবে যথারীতি জয়
কুল, ফল, অন্ন প্রাপ্তিতে হবে না ভয়।