মূল কবিতা : একটি বিল্ ও গাঁ’র বৃত্তান্ত  
আনন্দ গাথা  (১ম অংশ)প্রকাশের তারিখ ০৯/০৫/২০২০
প্রগতি ও বিরহ কথা (২য় অংশ, শেষ ভাগ)
*১৮ অক্ষর যুক্ত*
*******************
অমনি ক’রে দিনগুলি সব যাচ্ছিল বেশ কেটে—
আনন্দে এথায় সুখের দেবী বসেছিলেন এঁটে ৷
সহসা এ সুখের তরী হারিয়ে গেল এক ঝড়ে—
গেরাম আর বিল্ বিকবে নাকি প্রগতির তরে ৷
খবর  শুনে  সবার মুখ  হইল  ভীষণ ভার,
একে একে সব জমির দখল নিচ্ছে প্রোমোটার ৷
একটি বছর  দু’টি বছর গেল এমনি ক’রে,
নতুন মাটি বসেছে চেপে বিলের কোমল ধরে ৷
নতুন মাটির নতুন নগর উঠেছে হেথা গ’ড়ে,
বিজলির বাতি জ্বলে এখন সবার ঘরে ঘরে ৷
আজ এথায় চলে রেল পাশেই মোটর চলে,
গাঁওটির প্রাণ টা আজ ডুবেছে বসতির তলে ৷
ইটের ইমারত গজিয়েছে একটু দূরে দূরে,
গাঁয়ের ধরে ও বিলের প্রাণে অন্তর চিরে চিরে ৷
নতুন গাঁয়ে মাটির টানে এসেছে নতুন লোক,
কারও মনে আরাম আছে কেউবা করেন শোক ৷
আনন্দ আজ নেই গো হেথায় নেইকো হাসি গান,
দুঃখ থাকে ঘিরে সদাই সকলের দেহ-প্রাণ ৷
পাখিরা আর গায় না গান নকল বাঁশির তানে ৷
রাখালের বাঁশি হারিয়ে গেছে জানি না কোন খানে ?
সোনার মাঠে সোনার ফসল ফলে না আর ভাই ৷
বিলের বুকে ইটের পাহাড় এটাই বলে যাই ৷
জেলেরা সব গ্রাম ছেড়েছে ভাত-কাপড়ের টানে ৷
পড়ুয়ারাও মুখ গুঁজেছে পড়ার পুস্তক পানে ৷
বিল্ আর জাগিবে না ভাই বসতির তলা হতি,
অভিমানে তাকায় সে তাই ছোটো গাঁও-এর প্রতি ৷
                   *******
                       ****
                         **