**(লেখার পটভূমি ছিল আমাদের গ্রামের এক পরিবারের ছেলেদের তাদের মা-বাবার প্রতি অত্যাচার এর প্রতিবাদ)**


শুকনো পাতার শুকনো মনে আঘাত নাহি হানি,
মাত্তে দাও তাঁহার মর্মরস্বরে ঐ অনন্ত বনানী ৷
শুকনো হলেও জানবে সবাই একদিন ছিল প্রাণের পরশ,
জাগতো সে যে নতুনরূপে প্রাণে নিয়ে অথই হরষ ৷
তাতে এখন প্রাণ নেই তবে সুরের মধু আছে তাহায়,
সেই সুরের কিছু নিয়ে ঝড় তোলেন কবি কবিতায় ৷
দিয়েছে সবই তোমায় ঢালি তোমার মা-বাবা আপন নীড়ে,
আজ তাঁদের কাছে কিছুই দেবার নেই পুরানো এ মন্দিরে ৷


আছে কেবল প্রাণপাখি রে পুরানো এ খাঁচার ভিতর,
যাবে কবে ফুড়ুৎ করে উড়ে সেই অতলসাগর ৷
সবার বাঁধন মায়া ছেড়ে একদিন তাঁরা যাবে চ’লে,
সেদিন সবাই ভাসিয়ে দিবি মায়াকান্নার নয়নজলে ৷
তাইতো বলি শোন্ ওরে রাখো তাঁদের এই ভূবনে—
বিনা কথা বিনা বাধায় শান্তিমোড়া স্বাবাসনে ৷
তাঁদের শেষযাত্রার শেষভেলায় অশ্রু যদি নাও ঝরে,
দেখো তাঁরা রেখে যাবে আশিষের সব ফুলঝুড়ি রে ৷