নিয়ন বাতির আলোয় জেগে থাকা
ভোর  অনেক দেখেছি,
দেখেছি লোকালয়ে ভেরা
অসংখ্য মানুষের ঢেউ।
দেখেছি স্বপ্ন ভরা ঝুড়ি নিয়ে,
ক্লান্ততাকে জয় করা মানুষের মুখে হাসি।
আলো আর আঁধারের বুকে
হেঁটে চলা মানুষটাও,
ফিরেছে নিজের ছোট্ট কুঁঠিরে।
এক পশলা বৃষ্টির জল মাথায় নিয়েও,
পেটের জ্বালা মেটাতে ব্যস্ত সেই বৃদ্ধ।
দেখেছি শত শত সুখ চলতে ফিরতে,
কালো গ্লাসের ভিতরে।
সুউচ্চ অট্টালিকা আজ ব্যস্ত হয়ে পরেছে,
মেঘ গুলোকে ছুঁয়ে দেখতে।
উঁচু উঁচু দালান গুলোও,
আজ ভরে উঠেছে মাংস্তুপে।
ভোর হতেই ছুটে চলেছে
এক একটা দু'পেয়ে যন্ত্র,
সবাই আজ ব্যস্ত,
সুখ টাকে কেনার নেশায়।
খোলা আকাশে মেঘগুলো,
যেমন ছুটে বেড়ায়।
মনটাও তেমনি ছুটে চলে মেঘের পিছু।
একটা মাংসপিণ্ড,
বয়ে নিয়ে চলেছি অবিরত।
বড্ড ইচ্ছে করে বসে বসে শুনতে,
শান্ত নদীর না বলা আকুলতা।
ইচ্ছে করে আজও
গোধূলীর রঙে মাখাতে নিজের মন।
অন্ধকার হীন নিয়নের এই আলো
মনে করিয়ে দেয়,
ফেলে আসা জ্যোৎস্না ভরা রাত।
সুগন্ধির গন্ধ আজ,
আক্ষেপ করতে শেখায়।
মেখে আসা শিউলির ঘ্রাণ।
যান্ত্রিক নগরিতে বসবাস হয়েছে আজ,
হয়েছে ঠাই নগর মানুষের খেয়ালে।
তবুও যেন আজও,
খুঁজে ফিরি মাটির আপন স্পর্শ।
হয়তো দেহটাকে বস করেছি,
কোন এক মায়াজালে।
কিন্তু আজও যে মনটা খুঁজে ফিরে,
ভবঘুরে সেই জীবনটাকে।