স্বচ্ছ কাঁচের দেয়াল যেন, আজ ধুঁলোর চাঁদর মুড়ি দিয়েছে।
ঈষৎ সাদা মেঘগুলো সব খুঁজে ফিরছে পালাবার পথ।
চিড় ধরেছে কোমল এই বুকের পাঁজরে।
হয় তবুও দাড়িয়ে থাকা।
সময় নেই আজ অপেক্ষা করার,
নেই আজ বুকের সেই শক্তি।
কখন যেন পরে থাকা পাঁজরে ধরেছে মরিচা।
হাসির মাঝেই হঠাৎ করেই ঝড়ের হয়েছিলো আগমন,
ইচ্ছে মতোই ভাঙ্গলো তাশের জীবন।
মনের ভিতর এক মাঁয়ার জন্ম নিয়েছিলো,
তাই তো ক্ষতটা শুধু বেড়েই চলেছে।
একটা সময় নিজেকে খুব পরিচিত লাগতো,
এখন আর আয়নার সামনে যাই না।
চিনতে পারি না নিজেকে,
সত্যিই কি এটা আমি?
না কি ভিতরে জমা সব কষ্টগুলো?
সময় নাকি মানুষকে বদলে দেয়?
তাই আমিও বদলেছি, হয়তোবা বদলে দিয়েছে!
জানি হারাবো একদিন,
নিশ্চুপ হবে রাত, ভুলে যাবে পৃথিবী,
যে কখনও ছিলাম আমি।
কাছের মানুষগুলো পর হয়ে যায়,
সময়ের পালাবদলে।
তারই অপেক্ষায় ভাঙ্গা বুকের খাঁচা,
যা এক নিমিশেই হবে তাশের ঘর।
নড়বড়ে জীবনটাকে আর হয়তো শক্ত ভীত গড়ে দেয়া যাবে না,
আচমকা এক বাতাসেই চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়ে,
মিশিয়ে দিবে,
কাঁচের দেয়ালে ঘেরা,
শূন্য জীবনের খাঁচা।