নিয়নবাতির আলোয় জেগে থাকা
ভোর আমি দেখেছি,
দেখেছি শঙ্খলতায় ফোঁটা
কালচে হলুদ ফুল।
নিরব দাঁড়িয়ে থেকেছি
সমুদ্রের নীল জলে।
সুউচ্চ বালুময় ঢ়ের কাঁধে নিয়ে
হেঁটেছি প্রখর রোদে,
পরন্ত বিকেল ক্লান্ত বৃক্ষের মতো
কাটিয়েছি অবেলায়।
শিশিরের জলের মতো,
একটু একটু করে জমিয়েছি কষ্ট,
শান্ত, পরিশ্রান্ত নিস্তেজ হৃদয়ে।
বেঁধেছি স্বপ্ন বাবুই পাখির মতো
অন্যের বাহুডোরে,
হেঁটেছি আমি একলা দুপহর বেলা,
জানা ছিল না গন্তব্য স্থান।
রেখেছিলাম যতনে গভীর মন্থনে
যা ভেবেছিলাম অমূল্য রতন।
দেখেছি কত রাত, গিয়েছে কত চাঁদ
হয়নি দেখা তবুও অমাবস্যা।
বৃষ্টির জলে ভিজেছি কতো
কেঁদেছি অকারনে,
ইচ্ছের ঘুড়ি উড়াইনি কখনও
সুতো ছিড়ে যায় বলে।
ভাবিনি কখনও যেটা হারিয়ে যাবে সেটা,
ডুবন্ত গোধুলীর বুকে।
হয়তো আবারও তা পাবো ফিরে
অতিথি পাখির মতোন,
গোছালো হয়ে উঠবে না হয়তো
ভবঘুঁড়ে এই জীবন।