আমি দেখেছি


আমি দেখেছি জীবনের কত স্বপ্ন কে
ধার হয়ে, ধনীদের লকারে বন্দী হতে।
আমি দেখেছি কত সে ভিখারি বেটাকে
নেতা হয়ে গরিবের করেছে সর্বনাশ।
আমি দেখেছি সে স্লাম রক্তের বন্যায়
ভেসে যেতে, চোর ডাকাতের দারোয়ান।
আমি দেখেছি সে ব্যভিচারী মায়ের
মেয়েকে ,পতিতা হতে একা নিরালায়।
আমি দেখেছি কত নিশাচর চোরকে
ঘরে তার রমণী-শাপিত ঘরনী কে!
আমি দেখেছি সে গৃহ কলহকে লাল
হতে রক্তের বন্যাতে, ধুয়ে মুছে যেতে
পৃথিবীর কোন থেকে,-মৃত্যুশয্যায়।
আমি দেখেছি সে নেশাখোর প্রেমিককে
শুয়ে থাকে রাস্তায়, হারানো প্রেমের
ব্যথা নিয়ে বুকে,-কাদেনা তার প্রেমিকা
ঘরে, বিয়ে করে ভাইয়ের বউ হয়ে।
আমি দেখেছি অসহায় মায়ের নিভৃত
ক্রন্দন, সে চেতনা হারানো শিশুকে
একা কোলে নিয়ে থাকে স্বামীর প্রতীক্ষায়।
আমি দেখেছি সে ক্ষুধার্ত কচি ছেলেকে,
থাকে অপেক্ষায়, যদি (কেউ) কিছু খেতে দেয়।
আমি দেখেছি চুর সিপাহীর লাঠিকে
যারা সাধু সেজে শুধু চোর কে বাঁচায়।
আমি দেখেছি অর্থের ফোয়ারায় কত
ধনীদের হারামে নারীর সতীত্ব
বলি হতে, দেখেছি নারীদে' সতী হতে।
আমি দেখেছি রমণীর ভালোবাসায়
কোন এক রাতে মমতার বিক্রি হতে।
আমি দেখেছি সে শিশুকে চেয়ে একাকী,
চলতে স্রোতের উল্টোদিকে ঠিকানার-
খোঁজে,-নিরাশার দুয়ারে ভাসতে স্রোতে।
আমি দেখেছি সে ভন্ড স্বামীকে লুকোতে
প্রেমিকার মত্ত বাসনার বন্ধ ঘরে।
আমি দেখেছি, সে - কি অসহায় পিতা কে!
গ্লানির সাগরে ভেসে যেতে তিলে তিলে।
আমি দেখেছি সে মৃত্যুর হাতছানি
কোলে তুলে নিতে, হয়ে আজ ও অসহায়!


পিকলু চন্দ
15.05.20
কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়ন্তীতে আমার এই ছোট্ট উপহার উনার প্রতি নিবেদন রইল। কবিতা ছোট বেলার আশেপাশে  ঘটনাকে দৃশ্য করে লেখা মনের বিদ্রোহ ভাব।