সময়ের হিসাব


(শ্রাবনীর প্রতি লেখা কবিতা)


একদিনে তো অনেক সময়
বুঝলে সে কি তায়।
ঘুমিয়ে তারে কাটিয়ে দিলে
জানবে নাকো হায়!


বুঝতে বাপু  তারই কথা
রুটিন দিয়ে চলো
দিনের রুটিন বানিয়ে ফেলো
ঘড়ির কাঁটায় বলো।


একটা কাজ মাথায় রেখে
চলতে শুরু করো
আস্তে আস্তে সব কাজেতেই
ভীষণ বাজি ধরো।


কাজটা যত কঠিন হবে
চেষ্টা দৃঢ় রয়
কাজটা বড় সহজ হলে
হেলায় পড়ে রয়।


হেলাফেলার শত্রুটাকে
চেপে সোজা ধরো
যেমনি ভাবা তেমনি কাজ
মন্ত্রটাকে স্মর।


পিকলু চন্দ
১৮.০৬.২০২০


(লক্ষ্য স্থির করে চলতে পারলে জীবনে কখনো অবসাদ আসে না। লক্ষ্যভ্রষ্ট মানুষ ই অবসাদগ্রস্ত হয়। 2018/19 সনে অতি লাভের প্রত্যাশায় শেয়ার ট্রেডিং করতে গিয়ে জীবনের কষ্টার্জিত উপার্জন 30 লক্ষ টাকা লোকসান হয় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি। হারিয়ে যেতে বসেছিলাম কদাচিৎ বেঁচে গেছি তার একমাত্র কারণ ছিল জীবনে রুটিন মাফিক চলা। অবশ্য এত বেশি সিনসিয়ার নই দেয়ালে পিঠ ঠেকলেই গতি বৃদ্ধি হয় কিন্তু রুটিনের হেরফের হয় না। আমি দেখেছি একটা রাস্তা বন্ধ হলে জীবনের অন্য রাস্তা খুলে যায় কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, হার মানতে হয় না কোন পরিস্থিতিতে। হেরে গিয়ে শিখেছি,সমালোচিত হয়েছি তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ব্যথা যখন আমার,দুঃখ যখন আমার, প্রচেষ্টা যখন আমার তখন অন্যের আলোচনা-সমালোচনা শুনলে বা কি না শুনলেই বা কি। এমনই একটা স্বপ্ন নিয়ে স্কুলের কচিকাঁচাদের কথা ভেবে গ্রামের মধ্যে একাই যখন মস্ত বিশাল প্লেনের বাড়ি তৈরি করতে আরম্ভ করি, অনেক সমালোচনায় জর্জরিত হতে হয়, কেউবা পাগল ভাবে, কেউবা ভাবে বোকা। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন গ্রাম কি শহর হতে পারে না, সব সময় কি শহরেই  শহর গড়ে উঠেছে, নাকি গ্রাম ছিল! সমাধান আমি নিজেই দেখেছি ওটা সমালোচনা নয় ওটা আমার প্রতি ঈর্ষা, না হলে মানুষ কারো স্বপ্ন নিয়ে এমন ভাবে আলোচনা করে কি করে! কথাগুলো অনেকের জন্য প্রাসঙ্গিক নাও হতে পারে কিন্তু যেহেতু শ্রাবনীর জন্য লিখা তাই ওর জানা খুব প্রয়োজন, এভাবেই দাঁড়াতে হয় হারতে হয় না। হার-জিতের কথা অপ্রাসঙ্গিক সকল প্রচেষ্টাই এককভাবে সফল। যেমন করে হার না হলে জয় থাকেনা, জয় না হলে হার। একটা প্রবাদ আছে'এ রোলিং স্টোন গেদার ন মস' এ সত্য উপলব্ধি না করতে পারলে আমি নিশ্চয়ই বেঁচে থাকতাম না। তাই রুটিন আর ব্যস্ততাই জীবনে প্রাসঙ্গিক।
"শ্রাবণী তোর অনেক কাজ
তুই যে মায়ের আশা
জীবন নদীর হারানো স্রোতের
সাগর ভালবাসা।"