স্বপ্নকলি


স্বপ্নকলি একাই চলে আসে অজান্তে
মনের বারান্দায় কল্পনা জাল বুনতে।
দূর ছাই করে উড়িয়ে দিলেও (চলে)আসে
মনের অলিন্দে লুকিয়ে উঁকি মারে, হাসে।
বিরহ ব্যথার বাস্তব-অবাস্তবের
কল্পনা ডালি নিয়ে-কাছে বাতায়নের।
শুধালে কেন আসো, উত্তর নাহি কয়!
শুধু হেসে চলে যায় (স্বপ্ন) সে কল্পনাময়।
সে ভাসে আর ভাসায় ছুটে চলে যায়
পাগলের প্রায় যেন মরীচিকা হায়!
ভ্রমরগুঞ্জনে মধু আহরণে ছুটে
পুষ্প কাননে ফুল মধু সিঞ্চনে জুটে।
আকাশ বাতাস করি সব একাকার
ফিরে আসি দ্বারে কোনে লুকোয় হিয়ার।
স্বপ্নকলি ভাসে আর হাসে একা বসি
নিশি জাগরণে প্রভাত বরনে উশী।
তপ্ত রবির উষ্ণ দিনের শেষে হারি,
বইতে দক্ষিণা বায়ু সে শীতল ভারি।
ছুটে তরু ঘন প্রান্তরে পাখি হয়ে
কুহু কুহু রবে মৃদু সুর তান লয়ে।
কল্পনা হিল্লোল তুলি ভাসায় সাগরে
পাল তুলে সে বহে চলে দূর গভীরে।
জ্যোৎস্না দ্যুতি ছড়ায় মনে গোপনে
(যেন) নাচে কিশলয় নবযৌবন বরণে
নবীন  সৌরভ দীপ্ত গৌরব স্মরণে।
(আবার)স্বপ্নকলি জেগে উঠে নব আগমনে
কল্পনা দোলা দিয়ে আসে ফিরে মনে।


পিকলু চন্দ
০৯.০৫.২০২০