ম্যাক্সিমাম টাইমে তো ম্যাক্সি পরে থাকো,
বিয়ে বাড়ি খেতে গেলে তবেই না শাড়ি ।
তবুও তোমার চাই , চৈত্রসেলে যাওয়া
অটো চড়ে , ঘেমে নেয়ে ভিড়ভাট্টায়
বেহাল বেহালা কিংবা গড়িয়াহাটায়
আমি বলি , এটা কিন্তু বড় বাড়াবাড়ি ।


এই যে কিনছো তুমি কাঞ্জিভরম্
বেনারসী বোমকাই কিংবা ঢাকাই
কাঁথাস্টিচ বালুচরী নানান রকম
সত্যি বলতো সেলে, দাম কিছু কম ?


অকেশান কই আর ? পরবে কখন ?
কটকী বা সুতি সিল্ক কিংবা শিফন
পাল্লা খুললে দেখি স্টিল আলমারি
তাকে তাকে রাখা শুধু পাট করা শাড়ি ।


এমনি তে তুমি তো হে , নড় না চড় না
দু হাঁটুর গাঁটে গাঁটে পোষা আছে বাত
উপহারে পেয়েছো তো হাঁফানি ও সাথে
কটিখানি জানো ভালো মেদে কুপোকাত !


কোমরে থাকে না জানো ভাল ক’রে শাড়ি
যতই বাঁধো না কেন শক্ত ক’রে গিঁট
তুমি তো জানো হে সখী , জানো ভালো করে
( আগের মতন)
সে রকম নেই আর বডি খানা ফিট !


যত ই আঁটো না কেন ব্রোচে সেফটিপিনে
জরি পাড় টেনে টুনে কাঁধের উপর
অজান্তে খসে পড়ে , পাওনাকো টের ,
ঠিক ঠাক থাকেনাকো কাপড় চোপড় !
সিফন তসর বল বড় হ্যাল হেলে
এর থেকে ঢের ভালো সুতি ধনেখালি
যাই বলো , আজকাল ভালো সালোয়ার !
যত ই না হও কেন, পুরোনো বাঙালি !


যাই হোক –


ফিগার সে আঠারোর কবে ধীরে ধীরে
তুমি তো জানো না বঁধু , কাটেনিকো ঘোর !
পুঁটলিতে বেঁধে সেঁধে , সিঁধেলের মত
সটকেছে চুপ চাপ বয়সের চোর ।