---“ ও টা কি রে ? পুতুল না কি ?
কি যেন নাম ? বার্বি ?
একবারটি আন তো দেখি !
সাবধানে ধর ! পারবি ? “
---“পুতুল নয় গো ,মানুষ ছানা !
ও তো তোদের পুঁচকী সোনা !
চোখের মাথা খেয়েছো কী ,
দেখতে বুঝি পাওনা ?
আনতে আবার পারব না ক্যান ?
থাকে তোমার কোথায় যে ধ্যান !
কিন্তু বুড়ো , হাত না ধুয়ে তুই কী তাকে ধরবি ?
এখন তো তোর শুখনো কাশি
পরে আছিস কাপড় বাসি ,
কী রোগ তোর , ছোঁয়াচে কী না !!
ছোট্ট শিশু – মুই জানি না –
বাচ্চা কোলে নেওয়ার আগে
কাপড় জামা ছাড়বি !! “
---“ নাম টা কি ওর ?”
-- “অরেলিয়া “
--"কী করি যে তরে নিয়া ?
জিগাইতেসি নামটা কী ওর- ঢুকেছে কান দিয়া ? "
--"বললাম তো অত জোরে
কেমন করে বলবো তরে ,
শুনতে না পাও কানে ?"
---“ সে আবার কী ? কি তার মানে ?”
---"বাংলায় কি নাম ছিলনা ?
গ্রীশ থেকে ধার করতে হবে ?
নামের মানে খুঁজতে হলে ,
ডিক্সনারি টা ঘাঁটতে হবে ? "
---- “কী জানি ভাই , ওর মা জানে !
--- দিদার ও তো নাম লালিয়া !
যেমন পাখির নাম পাপিয়া
সেই রকম ই –-ওরেলিয়া !!
---যা হোক বাপু সব কিছুতেই
সুযোগ খুঁজে পেয়েছো যেই
নাক গলানোর ব্যামো টা ভাই
কখন যে তুই ছাড়বি ?
আবার বলি , যদি ধরিস , সাবধানেতে ধরবি !!”
---নাতনির নাম থাক যা থাকে
তোর মত তুই ডাকিস তাকে ।
তোর তো বুড়ো , হিয়ার মাঝে
দিনে রাতে যে নাম বাজে !!
ছোট্টো করে মিস্টি নামে ডাকিস কেবল ‘ হিয়া’
মাথার দিব্যি দেয়নি তো কেউ ডাকতে “অরেলিয়া “
---“ বুঝি না বাপু , অত শত ,
নামটা আমার মনের মত ,
মাতৃ ভাষার ধারে কাছে ,
বাংলা বাংলা গন্ধ আছে !
লাগে তবু বেশ আধুনিক ,
ওর মা তো বলেছিল --
কি যেন বেশ -- আন্তরজাতিক।
সে যাই হোক , সাচ বাৎ তো মানতে হবে ,
মনের মত সব কী হবে
এ খন না তোর মনের কথা
মনের মাঝেই রাখতে হবে !!
বাচ্চাটা তো বাবা মায়ের
অধিকার তাই তাদের আগে ।
শুনলে কথা তোর না বুড়ো ,
গা জ্বলে যায় ভীষণ রাগে !!”
---“জানি, জানি, সবই জানি
আমার ও পেটে বিদ্যে আছে ,
ঘর ভর্তি ডিকশনারি ,
ইন্টারনেট হাতের কাছে --
সেখান থেকে জানতে পেলাম ,
ফরেন টরেন নাই বা গেলাম ;
অরেলিয়া এক ধরনের মাছ বা প্রজাপতি
ওরিওলের অপভ্রংশ
কিংবা তাদের একই বংশ
হলুদ রঙের বাংলা পাখি , ভাবতে তো নেই ক্ষতি !
নামেতে ভাই কী যায় আসে ,
ছবিটা তো মনেই ভাসে ;
খেঁদি বুচি যা কিছু হোক
কী বললো বলুক না লোক !!
আসল টা তো মনের ভাষা
নামটি যাহার ভালোবাসা !!!