দাঁতের বদলে দাঁতই চাই  , চোখের বদলে চোখ ,


মানবের অধিকারের ছুতোয়  কমিশন যত হোক ।


যতই বলুক মানবিকতায় মুখোশেতে ঢাকা ভদ্র ,


পাক না যতই মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত শ্বেতপত্র ।


ফাঁশিটা তাদের চরম শাস্তি মৃত্যু চরম দন্ড ।


শাস্তি মকুবে কুযুক্তি যারা দেখায় তারা তো ভন্ড ।।


ধর্ষক আর ধর্ষিতে কভু যায় নাকো মানা সাম্য


যতই বলুক মানবা ধিকার--মৃত্যুই হেথা কাম্য ।।


ঐ মেয়েটির ও অধিকার ছিল , এই ধরণীতে বাঁচা ,


ঝরে যেতে হোলো তরু হ'তে কেন এ হেন তরুন কাঁচা


আজ কেন এই মৃত্যু দন্ডে কেন এত সংশয় ;


কেন বা থাকবে মনে জাগরুক প্রতিশোধ চেয়ে ভয় ?


উল্লেখ কেন ফাঁশির বিধান র'য়েছে সংবিধানে ?


প্রযোজ্য যদি নাই হতে যাবে , সে থাকার নেই মানে ।।


ওরা কি মানুষ ! চাই যে ওদের প্রয়োজন বাঁচবার ?


রক্ত ঝরানো খুনে , ধর্ষণে আছে কার অধিকার ?


আর যে মেয়েটি , চোখেতে সেদিন জলের সঙ্গে আগ ,


আরো বেশী ছিল গভীর দুঃখ , অন্তরে পোষা রাগ ।


যাহারা সেদিন বাড়ায় নি হাত ,  তার সে যুদ্ধে একা ,


চুপ থেকে গেছে --সাহস হয়নি ছাড়াতে গণ্ডি রেখা ।


মেয়েটির মুখে সেদিন টা ছিল শানিত কথার ছুরি--


শাঁখা-পলা ছিল তারো হাতে , তবু পরতে বললো চুড়ি


তাদেরকে  যারা প্রান ভয়ে ছিল ঘরেতে ঘোমটা দিয়ে


সেই সব যত পৌরুষহীন ! মেয়ে নয় ঐ মেয়ে ।।