দীঘাকে দেখে সেদিন বড়ো নিস্প্রভ লাগছিলো ,
মনে হচ্ছিল
দীঘির ধারে একলা বসা
শান্ত মেয়েটির মতো,
কিংবা সেই স্বল্পবাস দীঘল মেয়েটি--
যে তার ঢেউ এ ভেজা এলোচুল মেলে ধরে ছিল
সোনালি রোদ্দুরে ;
বিস্তীর্ণ বেলার টেবিলে একা ব'সে কার প্রতীক্ষায়
সে ও যেন অতল-বোতল শেষে খুলেছিলো স্যাম্পেনের...


আমাদের চোখ স্থির ছিলো
মেয়েটির অনাবৃত ত্বকে...
আমাদের চোখে ছিলোনাকো সাগরের ঢেউ
পায়ের কাছে আছড়ে পড়া আকুলি বিকুলি
ছুঁতে চাওয়া তীরের বালুকা ।
ঝাউ বন ফুঁসে উঠে ছিলো ক্রোধে না হিংসায়
স্বননের প্রতিধ্বনি যেন প্রতিবাদ !!


এখানে তো গোধুলি মেলেনা--
মেলে শুধু জলরাশি-- অফুরাণ...
ধুলি থাকে কেবল মাটিতে.--.
সুর্যের শেষ আভা তবুএখানেও রুধির ছড়ায় ।।


সন্ধ্যা নামে ঝাউ বনে ,
আর নামে হয়তো বা প্রবৃত্তি আদিম !!


পিকনিকে আসা নাগরিক আমরা ক'জন
বনপথে পথ ভুলে যাই...
আবাসী পথিক দেখে প্রশ্ন করি...
"জঙ্গলে জানোয়ার নেই ?"
সক্রোধ উত্তর মেলে--যেটা অনুমেয় ছিলোনা কখনো...
"না নেই !! তবে , আসে কলকাতা থেকে !!"
???? ?
কেন ?
এমন জবাব কেন সহজ প্রশ্নের ?
ভেবে দেখে পেয়ে যাই সহজ উত্তর !!
দশ দিন আগে এই
ঝাউবনে দেহাতী বালিকা এক
চেখেছিল নির্জনতা ,মৃত্যুর স্বাদ
আর আততায়ী প্রবৃত্তি পশুর !!!


গলাটা শুকিয়ে কাঠ !
দুই হাতে প্রণামের মূদ্রা করে
অঞ্জলি ভরে নিই সাগরের লবনাম্বু রাশি...
মুখেতে বিস্বাদ আসে...
মনে আসে গ্লানি ততোধিক...।


সব যেন মিলে মিশে একাকার ...
জলরাশি ঘোলাটে সফেন , বীচির বিক্ষোভ
বেলাভুমি, ঝাউবন ,
পর্যটন অভিলাষী শহুরে ক'জন ,
সোনালী বালুকা
এবং অদেখা সেই দেহাতী বালিকা !!!