আমার পদ্যটা পড়ে ফেলার আগে তারাপদ বাবু কোথায় যাচ্ছিলেন একবার দেখে নিতেই হয়... তাঁর মতে তো ......
" কপালের চুল ছিঁড়ে , দাঁত দিয়ে মাটি
কামড়ে ধরে কবিতা লেখার
কোনো মানে হয় না ।
কবিতা তো ডাক্তারের স্টেথসকোপ নয়
নয় উদ্বাস্তুর ভিটে বাড়ি
জেলের হাতের জাল , কিংবা নয় চাষার লাঙল ।"
আমার মতে ,কবিতা এক
গাঁয়ের সহজ লাজুক মেয়ে.
কার বুকে যে কত ব্যথা ,
খুঁজতে যাওয়া তার কি সাজে ?
এটা ও কি কম্মো কবির ?
কোথায় ব্যথা জানাও যদি
কালি কলম খরচ করে
না হয় , সে টা পৌঁছে দেবে ।
পাঠক জানি , চোখের পাণির
                যথাস্থানে প্রলেপ দেবে !!


নীল গোলানো জলের নীচে
মাছ আছে না হাঙর আছে !!
ঐ টুকু ঐ বাচ্চা মেয়ের
এমন কী আর সাহস আছে ?
সন্তরণেই ভঙ্গ রণে
আসতে উঠে পুকুর পাড়ে !
ভেবে দ্যাখো ,ঐ মেয়েটা
গভীর জলে ডুবতে পারে !!
জাল ফেলে কি জেলের মত
                  সোনালি মাছ তুলতে পারে ?


কবি তো আর উকিল টি নয় ,
আইন পুঁথির কচ কচানি--
চক্ষে ধারা বইয়ে সে তার
আইনি ধারার লজিক দেবে !!
বাস্তুহারার দুঃখে কাতর
হ'লেও সে হ'তেই পারে !
কিন্তু ভিটে পাইয়ে দিতে ,
                     কবিতা কি করতে পারে ?


চাষার হাতে থাকলে লাঙ্গল,
সেটাই যে তার সোনার কাঠি !
খুঁড়লে পরে জানতে পারে
উর্বরা না ঊষর মাটি !
কবিতা কি ফসল ফলায় ?
কবিতা তো রূপটা দেখায় !!
কথা দিয়ে কথার বুনন ,
কবি পোশাক সাজিয়ে রাখে !
খুঁজতে রুধির মিথ্যে প্রয়াস
                       কৃষ্ণচূড়ার বৃক্ষ শাখে !!!